নোয়াখালী: সেনবাগ উপজেলার ৮নং বিজবাগ ইউনিয়নের ফকিরহাটে গত শনিবার (১২জুলাই) জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য বসা সালিশ বৈঠকে কথা কাটাকাটির জের ধরে হামলার ঘটনায় জড়িত মামলার প্রধান আসামি লোকমান হোসেনের ছেলে মো. আলা উদ্দিন (৫০)সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
সোমবার ও রোববার গভীর রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। মো. আলাউদ্দিন, পিতা- মৃত লোকমান হোসেন, মো ফখরুল ইসলাম ইমন, পিতা- ছালাউলিন মো. ইসলাম হোসেন। প্রকাশ শুভ, পিতা- ইব্রাহিম খলিন বাদশা, টিপু সুলতান হায়দার (৩২) পিতা- মোস্তফা মানিক, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, আজিজুল হক গং ও আলা উদ্দিন গংদের মধ্যে দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর যাবত জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল এই নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
শনিবার বিকেলে ওই জায়গা-জমিন নিয়ে চলা বিরোধ মিমাংসার জন্য স্থানীয় ফকিরহাট বাজারের বাহার ষ্টিল নাম একটি দোকানে স্থানীয় বিজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাকের হোসেন কোম্পানী, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল আফসারের ঊপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক শুরুর এক পর্যায়ে বিবাদমান পক্ষ গুলোর তাদের কাগজপত্র উপস্থাপন শুরু করলে আলাউদ্দিন গংরা প্রতিপক্ষ আজিজুল হকের লোকজনের ওপর লোহার রড়, কিরিছ, লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করে ৫/৬ জনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
ওই হামলার ঘটনাটি বাজারে সিসিটিভি ক্যামরায় ধারণ করা ফুটেজ ভাইরাল হয়। এরপর আজিজুল হক গংদের পক্ষে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৪ তারিখ ১৩/৭/২৫ এতে গ্রেফতারকৃত আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিন সহ ৪জনকে গ্রেফতার করে।
সোমবার বিকেলে তাদেরকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান, সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান।
এআর







































