বরগুনার পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী পদ্মা গ্রামের বুড়ির খাল এলাকায় কয়েক শতাধিক মৎস্যজীবী, কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দা মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। জলবায়ু ক্ষতিপূরণসহ ন্যায্যতার দাবিতে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের অন্যায্য নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী "ক্ষতি বন্ধ করো! ঋণ বাতিল করো! ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর এখনই!" শীর্ষক বৈশ্বিক কর্মসপ্তাহের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল ঋণের ফাঁদ থেকে মুক্তি, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এবং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর জন্য ন্যায্য অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের দাবি জোরদার করা। উপস্থিতদের মধ্যে মৎস্যজীবী, কৃষক ও স্থানীয় জনগণ নারী, শ্রমিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক, সিসিডিবির উপজেলা সমন্বয়কারী সুজন কুমার, স্বেচ্ছাসেবক জুবায়ের ইসলাম, সিএনআরএস'র ফিসনেট প্রকল্পের নিজাম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক মাইনুল ইসলাম রেজা, জেলে জামাল হোসেন এবং উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।
হাসিবুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলে সম্প্রদায়। সাগরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় ট্রলার ডুবিতে অসংখ্য জেলের মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়। তবে ক্ষতিপূরণ বাস্তবে উপকূলের মানুষ পর্যন্ত পৌঁছায় না।
শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী অথচ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। আমাদের ঋণ চাই না, ক্ষতিপূরণ চাই। উপকূল জুড়ে এখন একটাই দাবি, ঋণ নয় ক্ষতিপূরণ চাই, টেকসই উন্নয়ন চাই। ক্ষতি বন্ধ করো, ঋণ বাতিল করো, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর এখনই।
এসএইচ







































