ছবি: প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ তুলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছে ভূজপুর মজলুম ঐক্য পরিষদ।
বুধবার সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার নামে ভূজপুরের সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এএসআই মোহাম্মদ খালেদ মজলুম ঐক্য পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ মুরুব্বি মোহাম্মদ আইয়ুবকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছেন, যা মানবিক মূল্যবোধ ও প্রশাসনিক নীতির পরিপন্থী।
সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজগর সালেহীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার আসামিদের গ্রেফতার না করার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এএসআই খালেদ তা উপেক্ষা করছেন। অন্যদিকে, ভূজপুরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও দখলবাজ চক্র বেপরোয়া চললেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং নিরপরাধ মানুষদের টার্গেট করে হয়রানি করা হচ্ছে, যা এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে।
সংগঠনটি দাবি জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এএসআই খালেদকে ভূজপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত নিরপরাধদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
ভূজপুর মজলুম ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, তাদের দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যে রাজনৈতিক হয়রানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে প্রত্যাহার হয়েছে, বাকিগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
জানতে চাইলে এএসআই খালেদ বলেন, তিনি আদালতের ওয়ারেন্ট অনুযায়ী গ্রেফতার করেছেন এবং এটি পূর্বের মামলা বলে জানতেন না।
এসএইচ







































