• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩ শতাধিক শিক্ষককে বড় সুখবর দিলো পরিকল্পনা কমিশন


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৫:২৪ পিএম
৩ শতাধিক শিক্ষককে বড় সুখবর দিলো পরিকল্পনা কমিশন

ফাইল ছবি

ঢাকা : দেশের মাদরাসা শিক্ষকদের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বৈশ্বিক চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিতির পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের শিক্ষাদানের দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে নির্বাচিত শিক্ষকদের দেশে-বিদেশ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে পর্যায়ক্রমে ৩১২ শিক্ষককে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 

এছাড়া বিদ্যমান টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোতে ১২ হাজার শিক্ষককে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য একটি প্রকল্পের আওতায় আলাদা বরাদ্দও রাখা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান নিজ ক্ষমতাবলে এটি অনুমোদন দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকার কম বরাদ্দের প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

আরো পড়ৃন : ৮০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য, শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি

জানা গেছে, দেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ২১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য। যেখানে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশে ১ লাখ ৪৮ হাজার মাদরাসা শিক্ষক কর্মরত। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দেশের সব শিক্ষককে এ হারে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হলে আরও অনেক বছর লাগবে। 

এজন্য মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। সেজন্য গত সপ্তাহে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পের আওতায় মালয়েশিয়ার একটি ইসলামিক ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করবে সরকার। পাইলট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ৩১২ জন শিক্ষক আগামী তিন বছরে প্রশিক্ষণ নেবেন। তাদের জন্য জনপ্রতি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ হবে ছয় দিনের। অন্যদিকে দেশে বিদ্যমান শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে ১২ হাজার শিক্ষকের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য সম্মানী বাবদ আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট শিক্ষার্থীর ১৩ শতাংশ মাদরাসায়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে তাদের শিক্ষাদানের জন্য যেসব শিক্ষক রয়েছেন তাদের দক্ষতা আগে বাড়াতে হবে। প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন আরবি, হাদিস, ফিকাহ, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও প্রশাসনিক বিষয়ে তারা প্রশিক্ষিত হবেন।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদরাসা শিক্ষকদের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বৈশ্বিক চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিতির জন্য প্রকল্পে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইসলামিক দেশ মালয়েশিয়ায় মাদরাসা ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের (শিক্ষক) ব্যবহারিক ও বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান প্রদান করা হবে এবং এর ফলে তারা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবেন। এ ধরনের উদ্যোগ আরও গ্রহণ করা উচিত। 

কারণ মাদরাসা শিক্ষার সার্টিফিকেটকে সাধারণ শিক্ষার সমান মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষার কারিকুলামে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হলেও শিক্ষকদের সেভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়নি। এ ধরনের উদ্যোগ কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!