• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শ্রদ্ধা, বনানী গোরস্থানে শেষ শয্যা

আলী যাকেরকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ২৭, ২০২০, ০৩:২৭ পিএম
আলী যাকেরকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন

আলী যাকের (৬ নভেম্বর ১৯৪৪ - ২৭ নভেম্বর ২০২০)

ঢাকা : করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মারা গেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তি আলী যাকের। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে, সমাহিত হবেন বনানী গোরস্থানে।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলী যাকেরের মরদেহ আগারগাঁও-এ অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দাফনের তথ্য জানিয়েছেন মরহুমের ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, “বাবার নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর বনানী গোরস্থান মসজিদে পড়া হবে।”

মৃত্যুর দুই দিন আগে আলী যাকেরের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়— উল্লেখ করে ইরেশ বলেন, “উনি যেই দোয়া এবং ভালোবাসা পেয়েছেন তার জন্য আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।”

মৃত্যুকালে আলী যাকেরের বয়স ছিল ৭৬ বছর।

প্রায় চার বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন আলী যাকের। এ ছাড়া ছিল বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।

বার্ধক্য ও হার্টের সমস্যাসহ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আলী যাকেরকে। সেখানে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

১৯৪৪ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এ নাট্যব্যক্তিত্ব। আলী যাকের ছিলেন চার ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয়। তার বাবা মোহাম্মদ তাহের ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। বাবার চাকরির বদলি সূত্রে অল্প বয়সে কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরে কাটান আলী যাকের।

তিনি নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

আলী যাকের ৮ নং সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন।

১৯৭২ সালে তিনি মঞ্চনাটকের দল আরণ্যকে যোগদান করেন। নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত ‘কবর’ নাটকের মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম মঞ্চে ওঠেন। পরবর্তীতে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে যোগদান করেন। সেখানে তার অভিনীত ‘দেওয়ান গাজির কিস্সা’, ‘নুরুল দিনের সারাজীবন’ দেশের মঞ্চনাটকের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।

টেলিভিশন নাটকে ‘আজ রবিবার’ ও ‘বহুব্রীহি’ দিয়ে তিনি পরিচিত লাভ করেন।

১৯৭৫ সালে নাট্য অভিনেত্রী সারা যাকেরকে বিয়ে করেন। তাদের ছেলে ইরেশ যাকের ও মেয়ে শ্রেয়া সর্বজয়া।

আলী যাকের একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক, বঙ্গবন্ধু পদক, মুনির চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদকসহ একাধিক সম্মাননা পান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!