ডিভোর্স ইস্যু : তামিমার পাসপোর্টে মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকা : বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঘটা করে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির ও তাম্মি। তাদের বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই খবর আসে, অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন নাসির। এ জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন নিজেকে তাম্মির প্রথম স্বামী হিসেবে দাবি করা রাকিব হাসান। এরপর মামলা করলেন তিনি। তবে সেই মামলা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ খুললেন নাসির। জানিয়ে রাখলেন আইনিভাবেই এর জবাব দেবেন তিনি।

এদিকে আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে দাবি করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেনের স্ত্রী তামিমা তাম্মি। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাসিরের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনের এসে এমনটাই দাবি করেন তিনি।

তামিমা বলেন, ‘আমি তালাকের জন্য আবেদন করি ২০১৬ সালে। তা অনুমোদন হয় ২০১৭-তে। সম্পূর্ণ আইনিভাবে সবকিছু মেনে ডিভোর্সটা হয়। উনার (রাকিব) পরিবার এবং তিনি এই সম্পর্কে জানতেন। উনি এখন যা করছেন তা কেন করছেন এটা হয়তো আপনাদের সবারই বুঝা হয়ে গেছে।

নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি জোড়ালো সমর্থন প্রকাশ করেন নাসিরও বলেন, এখানে লুকানোর কিছু নাই। নাটক করার কিছু নাই। আমি সব জেনেশুনেই বিয়ে করেছি।

তবে এই ঘটনায় নতুন মাত্রা দিয়ে যাচ্ছেন নাসিরের সাবেক প্রেমিকা শাহ হুমায়রা সুবাহ। নাসিরের সংবাদ সম্মেলনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন সুবাহ। সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেন উপস্থাপন করেন তামিমা ও রাকিবের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। ২০১৬ সালে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন তারা। কিন্তু সুবাহ হাজির তামিমার পাসপোর্টের কপি নিয়ে। ২০১৮ সালের এই পাসপোর্ট কপিতে দেখা যায় তামিমার স্বামীর নামের পাশে রাকিব লেখা একই সাথে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ নম্বরও রাকিবের।

সুবাহ'র এই পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'কিছু প্রমাণ দিলাম। জানিনা ঘটনা আসল কি। যাচাই করুন রাকিব ভাইয়াকে ফাঁসানো হচ্ছে এবং হবে। তামিমার পাসপোর্ট ২০১৮ সালের স্বামীর নাম দেয়া রাকিব হাসান। তাহলে ১৬ সালের জাল তালাক নামা আবার কিসের?' 

এদিকে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটার নাসিরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী যে কাগজ দিয়েছেন তাতে দেখা যায় তিনি ২০১৬ সালে রাকিব হাসানকে ‘স্ত্রী কর্তৃক তালাক নোটিশ’ দিয়েছেন। অন্যদিকে তার পাসপোর্টে দেখা যায় ২০১৮ সালে রাকিব হাসানকে স্বামী ‘উল্লেখ’ করে ‘পাসপোর্ট’ ইস্যু করেছেন তামিমা।

এ বিষয়ে তাম্মি বলেন, রাকিবের সঙ্গে তালাকের জন্য ২০১৬ সালে তালাকের আবেদন করি এবং ২০১৭ সালে সেই তালাক সম্পন্ন হয়েছে। ফেসবুকে আমার নামে কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে নানারকম বার্তা ছড়াচ্ছে। সত্য হলো আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। এমনকী নাসিরেরও এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। ওর একটি পেইজ আছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। স্ত্রী তামিমা তাম্মির সঙ্গে তার আকদ ও গায়ে হলুদের ভিডিও আপলোড করেন নাসির। এরপর ভাইরাল হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্রও। সেসব অনুষ্ঠানে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছেন নাসির ও তামিমা। তবে রাকিব নামে এক ব্যক্তি তামিমা তাম্মিকে তার স্ত্রী দাবি করায় বিয়ে নিয়ে বির্তক এখন তুঙ্গে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ