• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
গিনেস রেকর্ডে উঠতে যাচ্ছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে নতুন ইতিহাস


ফিচার ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১, ০১:৫৩ পিএম
বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে নতুন ইতিহাস

ঢাকা : বগুড়ার শেরপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু হলো শস্যের ক্যানভাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার ঐতিহাসিক কর্মযজ্ঞ ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’।

শস্য চারা রোপণের মাধ্যমে শুক্রবার শৈল্পিক ও নান্দনিতায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রপ ফিল্ড মোজাইক বা শস্যচিত্র গড়ে তোলার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি নিয়ে চিন্তাভাবনাকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের দরবারে বঙ্গবন্ধুকে ভিন্ন ও আরো উচ্চতর মাত্রায় তুলে ধরার জন্য এই কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর এই শস্যচিত্র হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্য শিল্পকর্ম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর নাম শস্য শিল্পকর্মে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে ঐতিহাসিক কৃষি শিল্পকর্মের অংশ হয়ে যাওয়া বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরের ছোট্ট গ্রাম বালেন্দা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে যেতে চোখে পড়বে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত। এ ধরনের ফসলের মাঠই হয়ে উঠতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কৃষি শিল্পকর্মে বিশ্ব রেকর্ডের অংশীদার। মোট ১২০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০৫ বিঘা জমিজুড়ে। এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আরো কোন স্থানে হয়নি।

এর আগে ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র। যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বগুড়া শেরপুরের বালিন্দায় বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট।

বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র সম্পন্ন হলে এটিই হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কৃষি শিল্পকর্ম বা ক্রপ ফিল্ড মোজাইক। শস্যর ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দুই ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। এই ধান চারা দিয়ে আঁকা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি। ইতোমধ্যে ফিল্ড ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে লে আউট অনুযায়ী চারা রোপণ।

১০ জনের নকশাবিদের একটি টিমের সঙ্গে প্রায় ১০০ জনের বিএনসিসি টিম লে আউটের কাজ শুরু করেছেন। লে আউট অনুযায়ী দুই ধরনের চারা রোপণের পর বিভিন্ন সময়ে এই শস্য ক্যানভাসে জাতির পিতার পোর্ট্রেট ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় উদ্ভাসিত হবে। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস রেকর্ডে উঠানো হবে। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে আমরা ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কর্ম এগিয়ে যাচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মের সব তথ্য গিনেস বুকে পাঠাব। আমরা চাই মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে।

সম্প্রতি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের কথা বলতেন। তার জন্মশতবর্ষে এটা শ্রেষ্ঠ কর্ম হবে বলে আমি মনে করি।

কারণ ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। মোট ১২০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০০ বিঘা জমিজুড়ে। এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোনো স্থানে হয়নি। শস্যর ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দুই ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে। আমরা চাই এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে।

তিনি বলেন, ধানের চারা চীন থেকে নেওয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপণের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে উঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। প্রায় তিন হাজার মণ ধান পাব। এই ধান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!