ছবি: ইন্টারনেট
ঢাকা : বিগত কয়েক দিনে তালেবানরা কোনো প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই উত্তরপূর্ব বাদাখশান রাজ্য দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদাখশানের প্রাদেশিক কাউন্সিলর মুহিব উল রহমা। আফগানিস্তানের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে সরে যাচ্ছে সরকারি সেনারা। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ থেকে শয়ে শয়ে সরকারি সেনারা তাজিকিস্তান সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছে। ফলশ্রুতিতে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান একরাতেই ১৩টি জেলা দখলে নিয়েছে। আফগানিস্তানের ৪২১টি জেলার মধ্যে ১৪০টিই দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, আফগানিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর আরও তিনশ’ সদস্য সীমান্ত পার হয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সীমান্ত অতিক্রম করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তাজিক বর্ডার গার্ডের মানবতা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের কারণে তারা আফগান সেনাদের কোনো বাধা ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় দিয়েছে।
এদিকে বিগত কয়েক দিনে তালেবানরা কোনো প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই উত্তরপূর্ব বাদাখশান রাজ্য দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদাখশানের প্রাদেশিক কাউন্সিলর মুহিব উল রহমা। সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে এবং তাদের নতুন সেনা ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে না। আফগান সেনাদের দুর্বল চিত্তের কারণেই তালেবানরা জয় পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত তিন দিনে তালেবান আটটি জেলা কোনোরকম যুদ্ধ ছাড়াই দখল করেছে। আফগান বাহিনীর শত শত সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সেনা চৌকি রেখে বাদাখশানের প্রাদেশিক রাজধানী ফাইজাবাদে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কান্দাহার পুনরায় দখলে নিয়েছে তালেবান। বেদখল হওয়ার আগে অঞ্চলটি তালেবানের পুরাতন দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। শনিবার রাতে তালেবান আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের মাধ্যমে শহরটি দখলে নেয়।
এর আগে গত ২২ জুন তালেবান বিভিন্ন প্রদেশের তিনটি জেলাসহ তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রধান সীমান্ত ‘শির খান বন্দর’ দখল করে নেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ ঘটনাকে গত দুই মাসের মধ্যে তালেবানের সর্বোচ্চ অর্জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ







































