ফাইল ছবি
ঢাকা: নোয়াখালী সদর উপজেলায় কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হলে সরকারকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির দাবি, স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা কুরআন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৫ জন ছাত্রশিবির নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে নোয়াখালী শহর ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, সাথী ছালাউদ্দিন এবং কেরামতিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আরাফাত আলীসহ ১৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের উদ্ধার করতে অ্যাম্বুলেন্স গেলে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। হামলার সময় মসজিদের ভেতরে অবস্থানরত ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে হামলা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ৩৬ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদী বা ধর্মবিদ্বেষী রাজনীতি সহ্য করা হবে না।
সংগঠনটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। ছাত্রশিবিরের ভাষ্য, হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনা হলে পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
হামলার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারও একই স্থানে ছাত্রশিবিরের দারসুল কুরআন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রতিবাদে রোববারের সভা ঘোষণা করে ছাত্রশিবির, যেখানে আবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
এসএইচ







































