ফাইল ছবি
ঢাকা: কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার পর স্থানীয় বিএনপির মধ্যে তীব্র সাড়া পড়ে। নড়েচড়ে বসেছে হাইকমান্ডও। নগরজুড়ে আলোচনা চলছে, সাক্কুর ঢাকার একান্ত বৈঠক কি তাকে দলের মনোনিত প্রার্থীর পাশে ফিরিয়ে আনবে, নাকি রাজনীতির অন্য কোনো কৌশল চলছে।
সাক্কুর সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে কুমিল্লার চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচনের ভোট ক্যালকুলেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, দলীয় প্রার্থীর স্বার্থ রক্ষা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন এবং দলের ঐক্য রক্ষার উদ্দেশ্যে সাক্কুকে দলে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসন জেলা রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বিএনপির নানা কৌশল থাকতে পারে। তাছাড়া জামায়াতের প্রার্থী দিন দিন সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হাইকমান্ড কুমিল্লার ভোটব্যাংক প্রভাবকে বিবেচনা করছে।
সাক্কু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে বিএনপির কিছু ভোট তার দিকে যেতে পারে। এতে জামায়াতের প্রার্থী অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন। কুমিল্লার রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দলীয় কোন্দল নিরসনের জন্য সাক্কুকে থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, দলের হাইকমান্ড কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা জানি না। তবে কুমিল্লার রাজনীতিতে বর্তমানে সাক্কুর প্রাসঙ্গিকতা তেমন নেই। নিজের গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্যই তিনি প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
এসএইচ







































