• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চীনা মেসেজিং অ্যাপ ‘উইচ্যাট’ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে অস্ট্রেলিয়া


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক আগস্ট ১৩, ২০২৩, ১২:৪৭ পিএম
চীনা মেসেজিং অ্যাপ ‘উইচ্যাট’ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা : জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সরকারি ডিভাইসে চীনা মেসেজিং অ্যাপ ‘উইচ্যাট’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার আইনপ্রণেতারা। এর আগে, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে মিল রেখে সরকারি ডিভাইসে চীনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করে দেশটি।

রয়টার্স খবর অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিদেশি শক্তিগুলো কীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় হস্তক্ষেপ করে তা তদন্ত করে অস্ট্রেলিয়ার সিনেট কমিটি। এর প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম এবং বিধিনিষেধের সুপারিশ করে ওই কমিটি।

গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি ডিভাইসগুলোতে চীনা মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর প্যাটারসন এক বিবৃতিতে বলেন, টিকটক ও উইচ্যাটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে, কারণ তাদের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স অ্যান্ড টেনসেন্ট এর সদর দপ্তর চীনে অবস্থিত।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, টিকটক এবং উইচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো কর্তৃত্ববাদী শাসকদের নিয়ন্ত্রণের অধীন, যা সংবেদনশীল সরকারি তথ্যের জন্য বিস্তৃত সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।

লিবারেল পার্টির সিনেটর জেমস প্যাটারসনের নেতৃত্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ সম্পর্কিত পাঁচ সদস্যের কমিটিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই সদস্য রয়েছেন। যদিও প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাধ্যতামূলক নয়।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার আইনপ্রণেতাদের প্রতিবেদনের তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে উইচ্যাট। তারা জানিয়েছে, উদ্বেগগুলো দূর করতে ক্যানবেরার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে তারা।

উইচ্যাটের মূল প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করছি। আমরা সিনেট কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি উইচ্যাট ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!