• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালানি জ্বরে ভুগছে দেশ!


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ৭, ২০২২, ১২:৩৫ পিএম
জ্বালানি জ্বরে ভুগছে দেশ!

ঢাকা : ইতিহাস ভঙ্গ করে কোনো ধরনের পূর্বালোচনা ও গণশুনানি ছাড়াই শুক্রবার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। এভাবে হঠাৎ ঘোষণায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশজুড়ে নানা সংকট ও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

জ্বালানি সংকটে শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে রাস্তায় কম সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করেছে। যাও চলেছে সেগুলোর বেশিরভাগেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়।

একদিকে পরিবহন সংকট, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে দেশজুড়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। একই সঙ্গে জ্বালানির উত্তাপে সবজির বাজারেও আগুন। দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে বেড়ে গেছে সব ধরনের শাক-সবজির দাম।

দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিকে একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, একলাফে এত দাম বৃদ্ধি করা ঠিক হয়নি। এটা জনসাধারণের জন্য যেমন ভোগান্তি, সরকারের জন্যও বিব্রতকর। এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সরকারের ওপরও পড়বে। এছাড়া এই মূল্য বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেবে।

ইতোমধ্যে এর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়তে শুরু করেছে। আর বর্তমান পরিস্থিতে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন এ খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) মধ্যরাতে ডিজেল ও কেরোসিন লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ৮০ থেকে ১১৪ টাকা, অকটেন লিটারে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা, পেট্রোল লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৬ থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। গতকাল ভোররাত ১২টা থেকে এই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন কমছে, সেই সময়ে বাংলাদেশে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর বহুমুখী প্রভাব পড়ে। যে দাম বাড়ে তারচেয়ে অনেক বেশি চাপ জনগণের ওপর পড়বে।

যেমন, যতটা তেলের দাম বাড়বে তারচেয়ে বেশি পরিবহন ব্যয় বাড়বে, পণ্য পরিবহনের খরচ বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে। কিছুদিন ধরে তো দাম বেড়েই চলেছে, সেটা আরেক দফা বাড়বে। যা বহন করার অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষ নেই এখন। এর বাইরে অর্থনীতির ওপরও চাপ পড়বে। বিশেষ করে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা চাপে পড়বেন।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের একটা ধারাবাহিকতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম যখন বেশি ছিল না তখন থেকেই দেশে তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। জনগণের দিক থেকে দেখলে এর জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

সরকার দাবি করছে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশে তেলের দাম বাড়ানো হলো। কারণ, সরকারের পক্ষে আর ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব না। এই দাবির পেছনে কোনো যুক্তি পাওয়া যায় না।

যুক্তি কেন পাওয়া যায় না সেই ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত কিছুদিনে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বিশ্বব্যাপী মন্দার আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় তেলের দাম কমে যাচ্ছে। একই কারণে সামনে তেলের দাম আরো কমে যাবে। কাজেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশে তেলের দাম বাড়ানোর যুক্তি কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক না।

দ্বিতীয়ত, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম যখন বাড়তি ছিল তখন বিভিন্ন দেশে ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় রাখতে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা এখনো অব্যাহত আছে। সরকার শুল্ক না নিলে দাম অনেকটাই কমে যাওয়ার কথা।

তৃতীয়ত, আমরা তো এই হিসাবটা ভুলতে পারি না যে, ২০১৪ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম খুবই কম ছিল তখন দেশে তেলের দাম কমায়নি সরকার।

ফলে, তাদের লাভ হয়েছে বেশ বড় অঙ্কের। সরকারি হিসাবেই সেটা প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা। গত কিছুদিনে যদি লোকসানও হয় সেটা ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে।

তাহলে, কয়েকগুণ বেশি লাভের টাকা তাদের হাতে রয়েছে। তেলের দামের এই ঊর্ধ্বমুখী তৎপরতার সময় সরকার চাইলে লাভের ওই টাকা থেকে সমন্বয় করতে পারত, এর জন্য তাদের হাতে তহবিল ছিল। এটা বেশি দিন করতেও হতো না, কারণ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাচ্ছে।

দেশের অকটেন ও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি পুরোপুরি অযৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে পরিষ্কারভাবে বলছেন যে অকটেন ও পেট্রোল আমাদেরকে বিশ্ব বাজার থেকে কিনতে হয় না।

প্রাকৃতিক গ্যাসের বাই প্রডাক্ট হিসেবে এটা পাওয়া যায় এবং আমাদের চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ অকটেন, পেট্রোলের মজুত আছে। তাহলে এর দাম বাড়ানোর তো কোনো প্রশ্নই আসে না। বিশ্ব বাজারের হিসাব এখানে একেবারেই অচল। একমাত্র ডিজেলের দাম বাড়ানোর কথা বলা যায়। সেখানেও আমদানি শুল্ক কমিয়ে, বাড়তি তহবিল সমন্বয় করে এর দাম কম রাখার বিকল্প ছিল।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা তৈরি করেছি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসির আওতায় পড়লেও সরকার তাদের হাতে তেলের দাম নির্ধারণের বিষয়টি দেয়নি, নিজের হাতে রেখেছে। এর কারণ হিসেবে বলেছে, মানুষের যেন কষ্ট না হয় তার জন্য তারা এই ক্ষমতাটা তাদের হাতে রেখেছে।

কিন্তু, আজ দেখছি তারা এর বিপরীতটা করল। তেলের এই দাম যেহেতু প্রশাসনিকভাবে নির্ধারণ করা হয়, তাই এটা কখনোই এত বেশি বাড়ানো যৌক্তিক নয়। এখানে তারা (সরকার) স্বেচ্ছাচারিতা করছে। কোনো ধরনের নীতি এখানে নেই।

এর জন্য বিইআরসির মতো সংস্থার মাধ্যমে দাম বাড়ানো-কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কিংবা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তখন ভর্তুকি দিতে হবে। আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি যে দাম নির্ধারণে কোনো নির্দিষ্ট নীতি নেই। এর জন্য একটা নীতিমালা থাকা দরকার।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এর থেকে একটা জিনিস প্রমাণ হচ্ছে যে, অর্থনীতি বা সবকিছুতেই আমরা অত্যন্ত চাপে পড়ে যাচ্ছি। এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা প্রমাণ করছেন যে, তারা এই চাপ সহ্য করতে পারছেন না, তাদের হাতে টাকা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, এটা খুবই অযৌক্তিক একটা সিদ্ধান্ত। সরকার যেটা দাম বাড়িয়েছে এটা কোনোভাবে সহনীয় পর্যায়ে নয়। ১০-২০ শতাংশ হলে আলাদা কথা ছিল। কিন্ত সরকার যেটা বাড়িয়েছে এটা অযৌক্তিক হয়েছে।

কারণ মহামারির পরে আমাদের যে দুর্যোগটা গেল আমাদের ওপরে অলরেডি মানুষের ওপর আর্থিক সংকটের বোঝা চেপে আছে। তার ওপরে এত বড় একটা বোঝা চাপানো ঠিক হয়নি।

এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, যে কারণেই সরকার দাম বৃদ্ধি করুক না কেন, একলাফে রাতারাতি যদি এই ধরনের মূল্য বৃদ্ধি হয়, আপনাকে দেখতে হবে ভোক্তা পর্যায়ে যে আমি এটা দিলাম, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে।

আমাদের দেশের মানুষ তো সাধারণভাবে, আর্থিকভাবে অসচ্ছল। এই অসচ্ছল জনগোষ্ঠীকে যদি হঠাৎ করে এত বড় বিপদের মুখে ঠেলে দেন, তাহলে এটা যৌক্তিক।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাকভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সাথে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লস থেকে বেঁচে থাকতে হলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কেনো উপায় থাকবে না।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই প্রচুর লস হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

তাছাড়া এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাস সংকট, সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের হাতে প্রচুর অর্ডার রয়েছে। বড় অঙ্কের লস দিয়ে এসব অর্ডারের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।

তিনি জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই অনেক লস হবে। নতুন করে প্রোডাকশনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় রাজধানীসহ দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায়। হঠাৎ করেই অনেক রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। অফিসগামী যাত্রীরা অনেকেই বাস না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। গতকাল সকাল থেকে সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

অন্যদিকে যেসব পরিবহন চলছে সেগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়েছে। কোনো বাসে প্রতি চেকে ৫ টাকা আবার কোনো বাসে আগের ভাড়ার অর্ধেকের বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। একইসঙ্গে ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয়।

অপরদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহনের ভাড়া দ্রুত সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। তা না হলে যাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

পরিবহন নেতারা বলছেন, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় না হলে সড়কে তার প্রভাব পড়বে।

এজন্য গতকাল বিকালে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এছাড়া ১০ আগস্টের পর লঞ্চের ভাড়া সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে লঞ্চের মালিক সমিতি।

এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে গতকাল বেড়ে গেছে সব ধরনের শাক-সবজির দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে প্রতি আটি শাক গতকালের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের এক বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় শাকের দাম বেড়েছে। আরেক সবজি বিক্রেতা মোহম্মদ সাকিব বলেন, প্রতি কেজি সবজির দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চাল, পিয়াঁজ, আলুসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মোহম্মদ সবুজ জানান, বগুড়া থেকে ট্রাকে ১৪ টন আলু আনতে খরচ হতো ১৫ হাজার টাকা। সেটা এখন ১৯ থেকে ২০ হাজার হবে। প্রতি কেজি আলুতে পরিবহন খরচ আগে ছিল ২ টাকা। সেটা এখন হবে ২ টাকা ৫০ পয়সা।

মেসার্স মতলব স্টোরের বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, পরিবহন খরচ বাড়ায় প্রতি কেজি চালের দাম বাড়বে। এখন চাল বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানের বিআর ২৮ চাল ৫১-৫২ টাকা, উত্তম মানের বিআর ২৮ চালের দাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭০ টাকা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!