• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
ইতালি-ইংল্যান্ড লড়াই

ইউরো ফাইনাল নিয়ে দেশের সাবেক তারকা ফুটবলারদের ভাবনা


মো. আতিকুর রহমান জুলাই ১০, ২০২১, ০৯:৪০ পিএম
ইউরো ফাইনাল নিয়ে দেশের সাবেক তারকা ফুটবলারদের ভাবনা

ঢাকা : সবশেষ ১৯৬৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর বৈশ্বিক আসরে চারবার সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালে যেতে পারেনি তারা। তবে এবারের আসরে সে আক্ষেপ ঘুচেছে। তাই ফাইনাল খরা কাটিয়ে শিরোপা জয়ে মরিয়া তারা।  

অন্যদিকে গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে ইতালি। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে হারানোর পর সেমিতে টাইব্রেকারে বিদায় করে স্পেনকে। ১২ জুলাই ওয়েম্বলিতে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। ইংল্যান্ড নাকি ইতালি, শেষ হাসি কে হাসবে? শিরোপা উঠবে কার ঘরে? এ উত্তর জানতেই অপেক্ষা পুরো ফুটবল দুনিয়ার।

ইউরো কাপের ফাইনাল নিয়েও কথা হয় বাংলাদেশের সাবেক তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে। সোনালীনিউজকে তারা জানিয়েছেন দুই দলের সম্ভাবনার কথা...

বাংলাদেশের আক্রমণভাগের সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ইউরোটা হলো ওয়ার্ল্ড কাপের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এই আসরে খেলা দলগুলোই আগামী কাতার বিশ্বকাপে খেলবে। সবাই ভালো খেলেছে যার যার জায়গা থেকে। তবে নিজেদের বেস্টটা দেওয়ার কারণেই ফাইনালে এসেছে ইতালি এবং ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ইতালি ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড কাপে খেলতে পারেনি। তাদের মধ্যে একটা বিরাট দুঃখ এবং আক্ষেপ কাজ করছে। বিশ্বকাপে ইতালি নেই, এটা আমরা ফুটবলাররাও মেনে নিতে পারিনি, দুর্ভাগ্য ছিল। এরপর তারা আস্তে আস্তে পরিণত হয়ে ইউরোতে এসেছে। এই আসরে তারা ড্যাশিং ফুটবল খেলেই ফাইনালে উঠেছে। সেক্ষেত্রে তাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আছে। ইতালির অনেক ফুটবলার ইতালির ফুটবল লিগের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন লিগেও খেলে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার চাপ অনেক বেশি। 

আরও পড়ুন<<>>কোপা ফাইনাল নিয়ে দেশের সাবেক তারকা ফুটবলারদের ভাবনা

এদিকে ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ইংল্যান্ড তাদের নিজের মাঠে খেলবে, যেখানে ৬০-৭০ হাজার দর্শকের সমাগম থাকবে। আর ইংল্যান্ডের খেলা মানেই তাদের দেশের মানুষের মধ্যে এক বিরাট উন্মাদনা কাজ করে। তাই ইংল্যান্ডের বড় এডভান্টেজ হলো তাদের মাঠে খেলা এবং তাদের সমর্থক। সেক্ষেত্রে ফাইনাল খেলা নিয়ে দুই দেশেরই একটা স্নায়ু চাপ থাকবে। আমার চোখে দুই দেশেরই ভালো খেলোয়াড় আছে। সম্ভাবনা দুই দেশেরই দেখছি। পাল্লাটা একটু ইংল্যান্ডের দিকেই ঝুঁকে থাকবে। তাছাড়া ৫৫ বছর পর ইউরোর ফাইনালে আসার কারণে শিরোপা জেতাটাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।  সর্বোপরি আমার কাছে মনে হচ্ছে, ইংল্যান্ডের দিকে পাল্লা ভারী হলেও ইতালি যে খেলা খেলছে তারা যদি জ্বলে ওঠে তাদেরও সম্ভাবনা আছে। তাই এককভাবে কে জিতবে এটা এখন বলতে পারছি না।

বাংলাদেশের সাবেক তারকা ফুটবলার আব্দুল গাফফার ইউরোর ফাইনাল নিয়ে সোনালীনিউজকে বলেন, দুই দলই খুব শক্তিশালী। উপভোগ্য একটি ম্যাচ হবে আশা করি। স্বাগতিক হিসেবে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনায় কিছুটা এগিয়ে ইংল্যান্ড। তবে ইতালি গত দুই বছর যে রকম খেলছে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে তাদেরও সম্ভাবনা আছে। ফুটবল একটি শিল্প। তাই দুই দলের কাছে শৈল্পিক খেলাটা আশা করছি। ইংল্যান্ডের আক্রমণ ভাগকে অনেক পরিণত দেখা যাচ্ছে। আবার ইতালির ডিফেন্সও বেশ শক্ত। আশা করি হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই হবে। এজন্য ইউরো নিয়েও এককভাবে বলছি না যে এ দলই জিতবে। যে দলই ১০০% এফোর্ট দিবে তারাই জিতবে। 

বাংলাদেশের রক্ষণভাগের সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ অবশ্য ইউরোতে ইংল্যান্ডকেই সমর্থন করছেন। সোনালীনিউজকে তিনি বলেন, যেহেতু ইংল্যান্ডকে সমর্থন করছি। তাই আমি চাই তারাই শিরোপা জিতুক। তবে ইতালিরও একটা দুঃখ আছে সেটা হচ্ছে ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলতে না পারা। তাই তারাও নিজেদের দেশকে শিরোপা আনন্দে ভাসাতে চাইবে। আবার ইংল্যান্ড ৫৫ বছর পর শিরোপা জয়ের এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। দেখা যাক কী হয়।

দেশের ফুটবলে পরিচিত মুখ সাবেক ফুটবলার সত্যজিত দাস রুপুও এগিয়ে রাখলেন ইংল্যান্ডকে। সোনালীনিউজকে তিনি বলেন, এডভান্টেজ এবং খেলা বিবেচনা করলে অবশ্যই শিরোপার দাবিদার ইংল্যান্ড। কারণ তাদের আক্রমণভাগের পাশাপাশি রক্ষণভাগ অনেক শক্ত। সেই তুলনায় ইতালির রক্ষণও কম নয়। আবার তারা প্রায় ৩৩ ম্যাচ ধরেই অপরাজিত। আমার কাছে অন্যান্যবারের তুলনায় ইতালিকে ভিন্ন আঙ্গিকেই দেখা যাচ্ছে।  তারা এখন আল্ট্রা ডিফেন্সিভ স্টাইলে খেলছে। আবার বল নিজেদের পজিশনে রেখে দ্রুত অ্যাটাকিংয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আশা করি আকর্ষণীয় একটা ম্যাচই হবে। 

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!