• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

৭ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার মিলান


ক্রীড়া ডেস্ক মে ৭, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
৭ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার মিলান

ঢাকা: ইতালির সানসিরোতো শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চলে গেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।

বিরতির পর ছয় মিনিটের মধ্যে তাদের জালে দুবার বল পাঠিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। শেষ দিকে আরেকটি গোল করে যখন জয়ের দুয়ারে তারা, তখনই নতুন করে নাটকীয়তা। সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টেনে নিল ইতালিয়ান দলটি। সেখানে বাজিমাত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল তারা।

মিলানের সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতে রোমাঞ্চে ঠাসা এক লড়াই দেখল ফুটবল বিশ্ব। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে জিতে, দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ধাপে পৌঁছে গেল ইন্টার মিলান।

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে দুই দফায় পিছিয়ে পড়ে ৩-৩ ড্র করেছিল বার্সেলোনা।

এবারের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে সেরা চেহারায় দেখা যায়নি বার্সেলোনাকে। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলে জয়ের সম্ভাবনা জাগায় তারা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের হতাশায় ডুবিয়ে ২০২৩ সালের পর আবার ইউরোপ সেরার মঞ্চে ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার।

লাউতারো মার্তিনেস ও হাকান কালহানোগলুর গোলে ইন্টার এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সেলোনার হয়ে একে একে জালের দেখা পান এরিক গার্সিয়া, দানি ওলমো ও রাফিনিয়া। যোগ করা সময়ে ফ্রান্সেসকো আচের্বি সমতা ফেরানোর পর অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি।

প্রথম লেগের মতো এবারও দারুণ খেলেন ১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল। তার কয়েকটি প্রচেষ্টা অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্যর্থ করে দেন ইয়ান সমের। দুই লেগ মিলিয়ে মোট ১৪টি সেভ করে দলকে ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রাখেন এই সুইস গোলরক্ষক। ফিরতি লেগে ম্যাচ সেরা তিনিই।

আগামী ৩১ মে মিউনিখে শিরোপা লড়াইয়ে পিএসজি অথবা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে সিমোনে ইনজাগির দল।

ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। গোলের জন্য ২২ শটের ১০টি লক্ষ্যে রাখতে পারে হান্সি ফ্লিকের দল। ইন্টারের ১৩ শটের ৭টি লক্ষ্যে ছিল।

একটা সময় ২-২ ও দুই লেগ মিলিয়ে ছিল ৫-৫ সমতা। ৬৮তম মিনিটে ইয়ামালকে মিডফিল্ডার মাখিতারিয়ান ফেলে দিলে শুরুতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে বক্সের একটু বাইরে ফাউল হওয়ায় ভিএআরের সাহায্য ফ্রি-কিক দেন তিনি।

৭৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ব্যর্থ করে দেন সমের।

নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পেদ্রির পাস বক্সে পেয়ে রাফিনিয়ার নেওয়া প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন সমের। তবে ফিরতি বল আবার পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান তারকা, এবার জোরাল শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে নাটকীয়ভাবে ৩-৩ সমতা ফেরায় ইন্টার। রক্ষণের দুর্বলতায় গোলটি হজম করে বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন তাদের এক ডিফেন্ডার। ডান দিক থেকে ডামফ্রিসের পাসে কাছ থেকে জালে পাঠান ফ্রান্সেসকো আচের্বি।

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো লড়াইয়ে ম্যাচের ৯৯তম মিনিটে ইন্টারকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে নেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা ফ্রাত্তেসি। বক্সে মেহদি তারেমির পাসে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার।

১০৭তম মিনিটে সুযোগ পান রবের্ত লেভানদোভস্কি। বাইলাইনের কাছ থেকে ইয়ামালের ক্রসে লাফিয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ৯১তম মিনিটে বদলি নামা পোলিশ স্ট্রাইকার। তিন মিনিট পর ফ্রাত্তেসির শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন স্ট্যান্সনি।

১১৪তম মিনিটে ইয়ামাল গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন প্রায়। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে তার জোরাল শট সমেরের হাত ছুঁয়ে বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট ঠেকান সুইস গোলরক্ষক।

শেষ পর্যন্ত মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও পারেনি বার্সেলোনা।

এআর

Wordbridge School
Link copied!