ঢাকা: আর মাত্র কয়েকদিন পরই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এবারই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে পঞ্চপাণ্ডবের কেউ নেই।
তবে আবেগ নয়, যুক্তি ও বাস্তবতার জায়গা থেকে ধাপে ধাপে সামনে এগোতে চান নির্বাচকেরা। সেরা পারফরম্যান্স করে শিরোপা জিতে বিশ্ব ক্রিকেটকে বার্তা দেওয়ার তাগিদ তাদের।
মিরপুরের মিডিয়া সেন্টারে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘আবেগ দিয়ে ভাবলে আলাদা কথা। আমি চাই দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলুক। কিন্তু আমাদের শক্তিমত্তা, অবস্থান আর লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছানোর পথ কতটা সুগম, বিশ্লেষণ করেই এসব ভাবতে হবে। টুর্নামেন্ট একটু এগোলেই বোঝা যাবে কারা ফাইনালে যাবে; তখন আমাদেরও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
আমার মনে হয় ধাপে ধাপে চিন্তা করাই উচিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি, আবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পারিনি। এই দুই দলই প্রথম রাউন্ডে আমাদের প্রতিপক্ষ।
এশিয়ান পরিসরে নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরতে পারলেই বিশ্ব ক্রিকেটে বার্তা দেওয়া যাবে। তাই আবেগ নয়, যুক্তি-বাস্তবতা মাথায় রেখে এগোতে হবে। আমি আশাবাদী, মাঠে কেউ কাউকে ছাড়বে না।’
এশিয়া কাপের দলে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। দীর্ঘ তিন বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়াবেন তিনি। লিপু বললেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনে একটা প্রক্রিয়া আর অগ্রগতি থাকে। আমাদের থাকে গভীর চিন্তাভাবনা।
শ্রীলঙ্কা সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সোহানকে দলে রাখার আলোচনা হয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল প্রথম একাদশে তার জায়গা পাওয়ার সুযোগ খুবই ক্ষীণ। তাই বৃহত্তর স্বার্থে তাকে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়াই ভালো মনে করেছি। ‘এ’ দলের হয়ে ডারউইনে খেলছে সে। বড় মঞ্চে আসার আগে এটিই ভালো প্রস্তুতি।’
দলে ফিরেছেন সাইফ হাসানও। তার অন্তর্ভুক্তির যুক্তি নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দল নির্বাচনে গভীর আলোচনার মধ্যেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। আর তা নেওয়া হয়েছে কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক প্যানেল সবাই মিলে।’
এআর







































