• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘আনুশকা আমাকে পাল্টে দিয়েছে’ বললেন কোহলি (ভিডিও)


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ১২, ২০১৮, ০৯:১৯ পিএম
‘আনুশকা আমাকে পাল্টে দিয়েছে’ বললেন কোহলি (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ২০১৩ সালে একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনচিত্রে একসঙ্গে কাজ করেন বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। এরপর থেকেই তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ‘সখ্য’। তারপর চার বছর চুটিয়ে প্রেম করছেন বিরুশকা। অতপর বিয়ে করে সুখের সংসারে ভাসছেন ভারতের এই তারকা দম্পতি। এরইমধ্যে এক বছর পর করেছেন তারা। এই সময়ে কি ভাবে বদলে গিয়েছে কোহলির জীবন, কে বদলে দিয়েছেন?

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা ভাতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে ধেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন নিজের দাম্পত্য জীবনে কেমন আছেন বিরুশকা। এক বছর আগে আজকের দিনেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁরা। এক বছর পূর্ণ। বিরাট কোহলি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে জানিয়েছিলেন, এই একটা বছর কীভাবে কেটে গেল, তিনি বুঝতেই পারেননি। একই কথা অানুশকা মুখেও। তিনিও বলেছেন, বিরাটের মতো ভাল মাপের মানুষের সঙ্গে এক বছর কাটিয়ে ফেলাটা দারুন ব্যাপার। প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে বিরাট ও অানুশকা, দুই পক্ষ থেকেই একে অপরের জন্য উড়ে এসেছে প্রেম-গদগদ বার্তা। দুজনেই যেন মরিয়া হয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, একে অপরের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে তাঁরা ঠিক কতটা ভাল রয়েছেন! যদিও বিরাট বরাবরই অনুষ্কাকে তাঁর সঙ্গী হিসাবে ফুলমার্কস দিয়ে এসেছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বিয়ের অনেক আগে থেকেই বলেন, অানুশকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার সঙ্গে তাঁর জীবনে পরিবর্তন এসেছে। আর সেইসব পরিবর্তন তাঁকে মানুষ হিসাবে পরিণত হতে সাহায্য করেছে।

বিরাট বলেন, ‌‘একসঙ্গে থাকার সুযোগ আমাদের কম হয়। তাই একসঙ্গে সময় পেলে আমরা বাড়িতে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। ও নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি খেলা নিয়ে। কখনও কখনও একসঙ্গে বেরনোর ইচ্ছে হয়। তবে আগে একসঙ্গে বেরোলে সত্যি খুব সমস্যা হত।  আমাদের সঙ্গে ছবি তোলার বা অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য ভিড় জমে যেত। তবে এখন মুম্বাইতে থাকার সুবাদে অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। কারণ, মুম্বাইয়ের মানুষ রাস্তাঘাটে একাধিক সেলিব্রিটিদের দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা এখনও যে রাস্তাঘাটে আর পাঁচজনের মতো ঘুরতে পারি না। সময় পেলে একসঙ্গে কোথাও ডিনার করতে যাই। অথবা কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসি একসঙ্গে।’

আনুশকা তাঁর জীবনে আসার পর থেকেই অন্যরকম অনেক কিছু ঘটছে তাঁর সঙ্গে। গিলক্রিস্টকে সেসবেরই ব্যখ্যা দিচ্ছিলেন বিরাট। বলছিলেন, ‘ও আসার পর থেকেই জীবনে বদল হতে শুরু হল। আসলে আমি উত্তর ভারতের সংস্কৃতিতে বড় হওয়া একজন। গতে বাঁধা উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি। বাইরের সমাজে বা অন্য কারও জীবনে ঠিক কী চলছে, সেসব সম্পর্কে আমার তেমন কোনও ধারণাই ছিল না। অানুষ্কার জীবন আমার থেকে অনেক আলাদা। ওর কিছু নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ও কিছু ব্যাপারকে নিজের মতো করে দেখে, বোঝে। একটা সময় আমি একেবারেই বাস্তববাদী ছিলাম না। ও আমাকে অনেক পাল্টে দিয়েছে। আমাকে বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে আনুশকার।’

ভিডিও:

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!