• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গমের বাম্পার ফলনের আশা কুষ্টিয়ায়


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি এপ্রিল ২, ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম
গমের বাম্পার ফলনের আশা কুষ্টিয়ায়

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় ব্লাস্ট রোগের কারণে জারি করা গম চাষে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবার ৯ সহস্রাধিক জমিতে গম চাষ হয়েছে। সময়মতো সার ও সেচ দেওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ব্লাস্ট রোগের কারণে কুষ্টিয়ায় গম চাষ থেকে বিরত থাকতে কৃষি বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে এ বছর গম চাষের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এবার জেলায় ১০ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৮০ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর, কুমারখালী উপজেলায় ১ হাজার ২৪৫ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় এক হাজার ৬০০ হেক্টর এবং দৌলতপুর উপজেলায় চার হাজার ৬৫৫ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে হাজার হেক্টর কমে ৯ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের কৃষক সামসুদ্দিন মালিথা জানান, গতবার তিন বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছিলেন। অধিক ফলন এবং দাম ভালো ছিল। সে কারণে এ বছর এবারও গম আবাদে আগ্রহী হয়েছেন। তাছাড়া এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ করা সম্ভব হয়েছে। এবার গমের রোগ-বালাই কম মনে হচ্ছে। যার ফলে গমের ফলনও ভালো হবে আশা করছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, ধানের চেয়ে গম আবাদে খরচ কম এবং গমের দামও বেশি পাওয়া যায়, তাই গম চাষ করেছেন। এবার দুই বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। তবে এখনো গম কাটা শুরু হয়নি। আশা করছেন, ফলন এবং দাম ভালো পাবেন।

মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের কৃষক জুলফিকার আলী জানান, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। সময়মতো সার, বীজ দেওয়ায় গমের ফলন ভালো হয়েছে। গমের জমিতে সার কম প্রয়োগ করতে হয় এবং তিনটি সেচ দিলেই চলে। যার ফলে গম চাষ করে কৃষক লাভবান হন।

একই উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল মমিন জানান, গত বছর দেড় বিঘা জমিতে গম আবাদ করেছিলেন। এবারও একই পরিমাণ জমিতে গম আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। বছরের প্রথমদিকে শিলা বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও গমের ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, ব্লাস্ট রোগের কারণে গম চাষের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা উঠে যাওয়ায় এবার কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এ বছর কৃষকদের উৎসাহিত করায় তারা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। সে সঙ্গে নতুন জাতের গমের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বারি ২৮, ৩০ এবং ৩৩ জাতের গম আবাদ হয়েছে। এবার গমের ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!