ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৫ শতাধিক মানুষ। সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স। তিনি কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নাতি জায়ান চৌধুরীর মাগফেরাত কামনায় শেখ সেলিমের বনানীর (২/এ রোডের ৯ নং) বাসায় কোরআন তেলায়াত চলছে। বেশ কয়েকজন হাফেজ কোরআন খতম দিচ্ছেন।
শেখ সেলিম বা অন্য কেউ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নাতি জায়ান চৌধুরীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাসার স্টাফরা বলেছেন, জায়ান চৌধুরী আর নেই।
গতকাল রবিবার ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো গির্জা ও হোটেল মিলিয়ে ৮টি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
কলম্বোর একটি পাঁচতারা হোটেলে দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এমপির মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া।
এর আগে শ্রীলংকায় ভয়াবহ বোমা হামলায় শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের পরিবার শ্রীলংকায় বোমা হামলার শিকার হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সেলিমের মেয়ে-জামাই ও নাতি এ সময় একটি রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। সেখানে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মেয়ে-জামাই আহত হন এবং নাতির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
রবিবার সন্ধ্যায় ব্রুনাইয়ের বন্দর সেরি বেগাবানের এম্পায়ার হোটেল এন্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইন্দেরা সামুদেরা বলরুমে ব্রুনাই দারুসসালামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাকে দেয়া এক গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি শ্রীলংকায় ভয়াবহ বোমা হামলার তীব্র নিন্দা এবং এই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো বর্ণ, ধর্ম ও দেশ নেই। তারা সন্ত্রাসী এবং মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। সুতরাং আমি তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকার ৮টি স্থানে সংঘটিত বোমা হামলায় বহু লোক নিহত ও আহত হয়েছে। আমি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :