• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
তিন কোটি টাকার ক্ষতি কাশিয়ানীতে

বন্যায় ১ হাজার মৎস্য খামারি ক্ষতিগ্রস্ত


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি আগস্ট ৪, ২০২০, ০৬:২৭ পিএম
বন্যায় ১ হাজার মৎস্য খামারি ক্ষতিগ্রস্ত

গোপালগঞ্জ : বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ১ হাজার মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে আনুমানিক প্রায় ৩ (তিন) কোটি  টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া অবকাঠামোগতও ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম শাহজাহান সিরাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মাছ চাষীরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, সমিতি ও স্থানীয় সুদে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে টাকা এনে মাছ চাষ করেছেন। বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবারও বড় ধরণের ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়বেন। ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে উপজেলার সিংগা, হাতিয়াড়া,পারুলিয়া,মাহমুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ঘের-পুকুরের পাড় পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। কোন কোন পুকুরের পাড়ের ওপর দিয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট পানি হয়েছে। অনেকে  পুকুরের চারপাশে জাল ও বাশেঁর বানা দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তলিয়ে যাওয়া পুকুরগুলো একেবারে মাছ শুন্য অবস্থায় পড়ে আছে।

উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের উপজেলার সবচেয়ে বড় মাছ চাষী মো: ছাওবান বলেন, ‘আমার দুইটি পুকুরে (ঘেরে)রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাংগাস, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলাম। বন্যায় পুকুর তলিয়ে সম্পূর্ণ মাছ ভেসে গেছে। জাল দিয়ে আটকাতেও সুযোগ পায়নি। এতে আমার প্রায় ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

কাশিয়ানী উপজেলা মৎম্য কর্মকর্তা এস, এম, শাহজাহান সিরাজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষীদের তালিকা করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবং চাষীদের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।

এদিকে, উপজেলার পারুলিয়া, পুইশুর, হাতিয়াড়া, মাহমুদপুর ও সিংগা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার। বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়া মানুষ অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, ব্রিজ-কালভার্ট, পোল্ট্রি ফার্ম। নষ্ট হয়ে গেছে মরিচসহ শাক-সবজির ক্ষেত। ইতিমধ্যে এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!