• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে সংশোধিত শ্রম আইন অনুমোদন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮, ০৫:০০ পিএম
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে সংশোধিত শ্রম আইন অনুমোদন

ঢাকা: কারখানা-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কমিয়ে এবং শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে 'বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮'-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত খসড়াটি উপস্থাপিত হলে তা অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এই অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৬ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে এটির অনেক বড় সংশোধন হয়। প্রায় ৯০টি ধারা সংশোধন হয়। আজকেও অনেকগুলো ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’

শিশুশ্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেউ যদি শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে, তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে মালিক ও শ্রমিকদের অসদাচরণ বা বিধান লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। আগে শাস্তি ছিল ২ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।’

প্রস্তাবিত আইনে মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন অসদারণের বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বল প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোনো স্থানে আটক বা উচ্ছেদ শারীরিক আঘাত এবং পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অথবা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে মালিককে নিষ্পত্তিনামায় দস্তখত করতে বা কোনো দাবি গ্রহণ বা মেনে নিতে বাধ্য করতে চেষ্টা করতে পারবেন না শ্রমিকরা। করলে এটা অসদাচরণ হবে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘কোনো মালিক শ্রমিকের চাকরির চুক্তিতে ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান নিষেধাজ্ঞা, কোনো ট্রেড ইউনিয়নে এর সদস্য পদ চালু রাখার অধিকারের ওপর কোনো বাধা সম্বলিত কোনো শর্ত আরোপ করতে পারবেন না। মালিক এই বিধান লঙ্ঘন করলে শাস্তি পাবেন।’

তিনি বলেন, আগে ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য ৩০ শতাংশ শ্রমিকের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এখন তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আগে ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য আগে ধর্মঘট ডাকার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মত গ্রহণের বিধান ছিল। এখন সেটা কমিয়ে ৫১ শতাংশ করা হয়েছে। মৃত্যুজনিত কারণে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণও দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ টাকা দেয়া হতো। এখন তা দুই লাখ টাকা করা হয়েছে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, শ্রমিকদের উৎসবভাতা বাধ্যতামূলক। এছাড়া কেউ আহত হয়ে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে ক্ষতিপূরণের টাকাও দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে এই ক্ষতিপূরণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। এখন সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

এছাড়া শ্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির জন্য (রায়ের সময়) নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এখন প্রস্তাবিত আইনে ৯০ দিনের মধ্যে রায় দিতে হবে। কোনো কারণে এই ৯০ দিনের মধ্যে রায় দেয়া না গেলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এই রায় অবশ্যই দিতে হবে, বলেন শফিউল আলম।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!