• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধান সংশোধনের সুযোগ সংবিধানেই রয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৭, ২০১৮, ০১:৫৭ পিএম
সংবিধান সংশোধনের সুযোগ সংবিধানেই রয়েছে

ঢাকা : সংবিধানে সংশোধনী আনার সুযোগ সংবিধানের ভেতরেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘সংবিধানে সংশোধনী আনা এখন জনগণের দাবি। আর এই সংশোধনী আনার সুযোগ সংবিধানের ভেতরেই রয়েছে।’

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ভোটাধিকার নিশ্চিতের পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাম জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়েছে। সরকার চাইলেই সংবিধানে সংশোধনী আনা সম্ভব, যা সংলাপে আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরবো।’

এ সময় সংলাপ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের ঘটনারও সমালোচনা করেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘সংলাপের মীমাংসা না হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন তফসিলের তারিখ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও সংলাপের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। অথচ তার আগে কীভাবে তফসিল ঘোষণা হয়?’

সংলাপে ফলপ্রসূ সমাধান না আসা পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সংলাপ চলাকালীন অবস্থায় বাম নেতাদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা চলছে, এমন অভিযোগ এনে সাইফুল বলেন, ‘সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধানের সদিচ্ছা দেখাতে চাইলে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে মামলা হয়নি, মামলা হয়েছে নাশকতা, মাদক, জঙ্গি এসব কারণ দেখিয়ে। তাই রাজবন্দিদের তালিকা চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৌশলী বক্তব্য।’

একই সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশ আজ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে। এ দেশে ভোটাধিকারের আন্দোলন নতুন নয়। দুটি দল (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলে থাকলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আবার তারাই ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। তাই দেশের জনগণ তাদের চিরদিন বিরোধী দলে দেখতে চায়।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন, এমন বক্তব্য আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের মুখ থেকেও শুনেননি। তারপরেও কীভাবে বলেন আপনার সদিচ্ছার ওপর আস্থা রাখতে?’

সংলাপ হচ্ছে আবার আন্দোলন করবেন- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘এই প্রশ্নের জবাব আপনি আপনার পিতার কাছ থেকে শিখে নিন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু সংলাপ করেছেন ইয়াহিয়ার সঙ্গে, পাশাপাশি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বানও তিনি জানিয়েছেন।’

নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন ভেঙে তা পুনর্গঠন করতে হবে এবং সমস্ত প্রশাসনকে যেভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে, এই দলীয়করণ করা প্রশাসনকে ভেঙে পুনর্বিন্যাস করতে হবে।’

পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশ থেকে জানানো হয়, সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরা হবে। এরমধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। ইভিএম ব্যবহার বাতিল ও না ভোটের বিধান চালু রাখতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মতিঝিল ঘুরে আবার পল্টনে এসে শেষ হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!