• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গরুর গোশত খেলেই ফাঁসি!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১৬, ২০১৭, ০৮:৫০ পিএম
গরুর গোশত খেলেই ফাঁসি!

ঢাকা: অল ইন্ডিয়া হিন্দু কনভেনশন ভারতীয় গণতন্ত্র ও ক্রমবর্ধমান সেকুলারবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এগুলো ভারতে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। কনভেনশন আরো জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি গরু জবাই বন্ধ করে এবং অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ করে, তবেই তারা বিজেপি সরকারকে তাদের সরকার বলে অভিহিত করবে।

এদিকে সনাতন ধর্ম প্রচার সেবা সমিতির সদস্য সাধ্বী সরস্বতী দাবি করেছেন, যারা গরুর গোশত খায়, তাদের ‘ফাঁসি’ দেওয়া উচিত। পিটিআই বৃহস্পতিবার এ খবর প্রচার করেছে। গোয়ায় বুধবার অল ইন্ডিয়া হিন্দু কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাধ্বী সরস্বতী বলেন, ‘আমি ভারত সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যারা আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে তাদের নিজের মায়ের (গরুর) গোশত খায়, তাদের ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’

তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ‘গরু রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। গরু জবাইকারীদের জন্য নরহত্যা অপরাধের আইন প্রয়োগ করা উচিত।’ সাধ্বী সরস্বতী হলেন মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়ারা জেলার সনাতন ধর্ম প্রচার সেবা সমিতির সভাপতি। গোয়ায় অনুষ্ঠিত সম্মেলন আয়োজন করেছে সনাতন সংস্থার মিত্র হিন্দু জনজাগত্রি সমিতি। এই সংগঠনটির কয়েকজন কর্মী ২০১৩ সালের আগস্টে যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকারিনকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকে ১৩৯টিরও বেশি হিন্দু সংস্থা চার দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।

সাধ্বী সরস্বতী আরো বলেন, হিন্দুদের বাড়িতে অস্ত্র রাখা দরকার, নইলে ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হয়ে যাব।’ তিনি বলেন গেরুয়া সন্ত্রাস বলে কিছু নেই। গেরুয়া মানে হলো জাতি ও ধর্মের প্রতি জীবন উৎসর্গ করা।

এদিকে সনাতন সংস্থার মুখপাত্র অব্যয় বারতক বিজেপি সরকারের ওপর চড়াও হন। তিনি বলেন, ‘গোয়ায় বিজেপি মন্ত্রীরা গরুর গোশতের পক্ষে কথা বলেন। উত্তর পূর্বের এক মন্ত্রী বলেছেন, তিনি গরুর গোশত খান। দিল্লির এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, তিনি গরুর গোশত ভালোবাসেন। তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘গো-মাতা কি তাদের খাবার?’

এদিকে সাধ্বী সরস্বতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক গিরিশ চোদানকার পিটিআইকে বলেন, রাজ্য সরকার নীরবতা অবলম্বন করে এবং তাদের কর্মসূচি চালিয়ে নিতে দিয়ে পুরো ঘটনার অংশে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘ঘৃণা সৃষ্টির’ জন্য সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!