• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরে কী বললো সেই মেয়েটি?


ফেসবুক থেকে ডেস্ক জানুয়ারি ২৬, ২০১৮, ১০:৫৬ এএম
পরে কী বললো সেই মেয়েটি?

ঢাকা: ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা এখন সারা দেশে বেশ সমালোচনার জন্মদিয়েছে। এ ঘটনার বেশকিছু ছবি নিয়েও রাজনীতি করছে উভয় পক্ষ। সেই হামলার শিকার একজন ছাত্রীর ছবি গণমাধমে আসলে বেশ আলোচিত হয়। তিনি শ্রবণা শফিক দীপ্তি। 

তার ছবি নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে জানিয়ে তিনি ২৩শে জানুয়ারি ১১টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা দেন। 

সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ছবিও আপলোড করেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন- ‘‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতানেত্রীরা একটা ছবি গণহারে শেয়ার করছে। সেই ছবিতে দেখানো হচ্ছে একটি মেয়েকে ঘিরে আছে কয়েকজন ছেলে। মেয়েটি কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শায়লা শ্রাবণী। তারা দাবি করছেন যে শ্রাবণীকে ঘিরে থাকা ছেলেরা ওকে হ্যারাস করছিল। আমি আজকে (২৩ জানুয়ারি) ছাত্রলীগের হামলার শিকার। আমি প্রকৃত ঘটনাটা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই।

২৩ জানুয়ারি আন্দোলনে দফায় দফায় ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এক পর্যায়ে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ চতুর্দিক থেকে ছাত্রলীগ দ্বারা ঘেরাও থাকা আমরা বের হতে গেলে তারা ভয়ংকরভাবে হামলে পড়ে। সেখানে আমাকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতানেত্রী কিল ঘুষি দিচ্ছিল, টানা হেঁচড়া করছিল, চড় থাপড় দিচ্ছিল। একপর্যায়ে আমার পেটে একটা লাথি পড়ে এবং আমি কোণায় ছিটকে পড়ি। 

এরপর আমার ভাই, বন্ধু এবং সাংবাদিক ভাইয়েরা আক্রমণকারীদের নিরস্ত করতে চেষ্টা করলে এই মেয়েটি তাদের গালিগালাজ করতে করতে ব্যারিকেড ভেঙে আসতে চেষ্টা করে। আমার সাহায্যকারিরা তাকে কোনমতে গায়ে হাত না দিয়ে নিরস্ত করার চেষ্টা করছিল। যেটার ছবি ছাত্রলীগের নেতানেত্রীরা শেয়ার করছেন। কিন্তু সেই পর্যায়ে আরেকদিকে আমাদের এক সিনিয়র আপুর বুকে ছাত্রলীগের ছেলেরা ক্রমাগত লাথি দিলে আমার বন্ধুরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। আমাকে একা পেয়ে এই মেয়েটি ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। 

সে আমাকে তখনো মেরে যাচ্ছিল আর বলে যাচ্ছিল, ‘কেন আন্দোলন করলি? আন্দোলন করে কী বাল ফ্যালাবি আমরা তা দেখে নেবো। 

ছবিতে (তার ফেসবুকে আপলোড করা ছবি) আমার উপর হামলা করতে দেখা যাচ্ছে মেয়েটিকে এবং সে আমার চুল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, জামা টান দিয়ে ছিড়ছে।

এখন বলেন কে কাকে নিপীড়ন করেছে?
এতো স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়ার পরেও আপনারা এই বিভ্রান্তিতে ভাসবেন?
নাকি আমাদের উপর ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যারের প্রত্যক্ষ মদদে হওয়া এই বর্বরোচিত হামলার বিচার চাইবেন?

এবং জানিয়ে দিতে চাই, আমি কোন বাম করি না, ছাত্রদল করি না, শিবির করি না, ছাত্রলীগও কখনো করি নাই। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ট্যাগহীন একজন জেনারেল স্টুডেন্ট। বরং আমার বাপ ’৯৪ সালের সেই বিতর্কিত মাগুরা-২ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।”

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!