• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনে নানা ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার প্রবাসীরা


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮, ১০:০৮ এএম
ব্রিটেনে নানা ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার প্রবাসীরা

ঢাকা: ভিসা ও পাসপোর্ট জটিলতায় ভুগছেন ব্রিটেনের প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাজার হাজার অভিবাসী। দেশটির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও, নানা ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। সরকারের এমন নীতির প্রতিবাদে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।

লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সামনে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুতকরণের দাবিতে বিক্ষোভে যোগ দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বিভিন্ন দেশের অভিবাসীর সরকার বিরোধী স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। কোনো অপরাধ না করেও, সরকারের দমন নীতির শিকার হওয়া অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা আরও বলেন, ব্রিটেনে বৈধভাবে থাকলেও ভিসা প্রদানে বিলম্বের কারণে জরুরি প্রয়োজনেও দেশে আসতে পারছেন না।

তারা বলেন, অনেক দিন ধরে আমরা দেশে যেতে পারছি না। অনেকের বাবা-মা মারা যাওয়ার পরও তারা দেশে ফিরতে পারছেন না। অনেকেরই ভিসা দেয়া হচ্ছে না।

ব্রিটিশদের পাশাপাশি বহু অভিবাসী ব্রিটেনে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে দেশটির অর্থনীতিতেও অবদান রাখার কথা জানান বিক্ষোভকারীরা। এরপরও ব্রিটিশ সরকারের বৈষম্যমূলক নীতির কারণে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হওয়ার দাবি করেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।

তারা বলেন, আমরা অবৈধ অভিবাসী নই, আমরা আমাদের অধিকার চাই, কিন্তু সরকার তাও দিচ্ছে না। এই সমাজে আমাদেরও অনেক অবদান আছে। সরকার কোনোভাবেই আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করেত পারেন না।

তারা আরও বলেন, আমাদের ভিসা আটকিয়ে রেখে আমদের সঙ্গে যে অবিচার করা হচ্ছে, তা জানাতেই এখানে জড়ো হয়েছি। ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলে। তারা যেটা করছে সেটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

এ অবস্থায় ব্রিটিশ সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের জবাব দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ নারগিস আয়ান।

তিনি বলেন, সবাইকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। অভিবাসীরা যদি তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না থাকে, তবে দমন-পীড়ন আরও বাড়তে পারে। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান আসবে।

২০১০ সালে ডেভিড ক্যামেরন নেতৃত্বাধীন তৎকালীন প্রশাসনের অভিবাসী কমিয়ে আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে, বর্তমান সরকার ইমিগ্রেশন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!