• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে উত্তরার অস্ত্র’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২২, ২০১৬, ০৪:০১ পিএম
‘রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে উত্তরার অস্ত্র’

রাজধানীর উত্তরার একটি খাল থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র অপরাধীদের জন্যই আনা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে, অশুভ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালে ফেলা হয়েছিল। সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা, রিমান্ডে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং উত্তরার খালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার একই যোগসূত্রে গাঁথা একটি মহাপরিকল্পনার অংশ।’

বুধবার (২২ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

গত ১৯ ও ২০ জুন রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ী খাল থেকে ৯৭টি পিস্তল, ৪৬২টি ম্যাগাজিন, ১০টি বেয়োনেট ও সহস্রাধিক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত পিস্তলের মধ্যে ৯৫টি সেভেন পয়েন্ট ৬২ বোরের চাইনিজ পিস্তল, বাকি ২টি স্থানীয়ভাবে তৈরি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কমিশনার কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর স্বভাবসুলভ বক্তব্যের সমতুল্য। তার বক্তব্যে আওয়ামী নেতাদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি হয়েছে।’

‘পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যে মনে হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগ নামীয় দলটির পোর্টফোলিও হোল্ডার। পৃথিবীর কোনো দেশে যেখানে ন্যূনতম আইনের শাসন আছে, সেখানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দায়িত্বশীল বক্তব্য রাখেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক প্রভুদের অন্যায় আচরণের নির্লজ্জ অনুসরণ করেন না।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বর্তমান পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পরে তার স্বল্পভাষিতায় আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম, তিনি দৈত্যকূলে প্রহ্লাদ হবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি তার পূর্ববর্তীদেরই অনুগামী, আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার ‘

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে অস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়েছে, এ ধরনের অস্ত্র মূলত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই আমদানি ও ব্যবহার করে থাকে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীরাই ব্যবহার করে থাকে। পিস্তলগুলোর মধ্যে ৯৫টিই ৭.৬২ বোরের পিস্তল, যা পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবহার করে। এটি আর রহস্যের মধ্যে নেই, ক্রমাগতভাবে রহস্যের কুয়াশা ভেদ করে মানুষের মনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া তুরাগ নদীর খালে এ অস্ত্রগুলো পৌঁছাত না।’

রিজভী বলেন, ‘এই অস্ত্রগুলি আনা হয়েছিল অপরাধীদের জন্য, যারা অপরাধ সংঘটন করে। মানুষের মনে আরও সন্দেহ তীব্র হয়ে উঠেছে যে, কিভাবে প্রকাশ্য দিনের বেলায় নম্বরছাড়া একটি কালো রঙের পাজেরো গাড়ি এই বিপুল অস্ত্র খালে ফেলে চলে গেল। কারণ, এলাকাটি তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আবদ্ধ। সুতরাং অশুভ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালে ফেলা হয়েছিল বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক কাজী রফিক, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহ-সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার বসু (মিন্টু) প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!