• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেক্স ডলে সর্বনাশ!


ফিচার ডেস্ক জানুয়ারি ১, ২০১৮, ১২:০০ পিএম
সেক্স ডলে সর্বনাশ!

ঢাকা: যৌন সঙ্গমের জন্য সেক্স ডল পশ্চিমা বিশ্বে এখন তুমুল জনপ্রিয়। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে সেক্স ডলদের আলাদা যৌনপল্লীও গড়ে উঠেছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত এই রোবটে কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে।

প্রধান এ সমস্যাটি হলো, খদ্দেররা চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত সেক্স ডল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে, তারা নিদিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি বার বা বেশি সময় সেক্স ডলদের সঙ্গে যৌন কাজ করছেন। এ নিয়ে বিপাকে যৌনপল্লীর মালিকরা।

তবে বিজ্ঞজনরা বলেন, সব বাড়াবাড়িরই একটা ভালো-মন্দ আছে। এ কথা মানলে মন্দের প্রভাব থেকে প্রযুক্তিই বা বাদ যাবে কেন। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই একসময় নাকি সর্বনাশের কারণ হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এমনকি ঘরের বাসিন্দা রোবটগুলো আনন্দ দেয়ার পরিবর্তে মানুষকে হত্যাও করতে পারে।

এ বিষয়ে নিজের মতামতের কথা তুলে ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডিয়াকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিক প্যাটারসন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সেক্স রোবটের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হ্যাকারদের কাছে অনেক সহজ হয়ে পড়েবে। আর একবার তা সম্ভব হলে দূর থেকেই মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে চালনা করা যাবে রোবটগুলো। এতে সেগুলো দিয়ে সংঘটিত করা যাবে যেকোনো অপরাধ।

পিটারসন বলেন, কোনো কোনো সেক্স রোবটের ওজন ২০০ পাউন্ড পর্যন্ত এবং খুব শক্তিশালী হয়। ফলে একজন শক্তিশালী মানুষের মতো যেকোনো অপরাধ করতে পারবে সেগুলো। অপরাধের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না ডাকাতি ও খুনখারাবিও। প্রয়োজন হবে হ্যাক করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া। আর সেটা করাও বেশি কঠিন হবে না। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার জন্য সেগুলোকে সব সময় ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। 

তাই ভিন্ন মাত্রার আনন্দের কথা চিন্তা করে সেক্স রোবট ঘরে আনার আগে একটু সাবধান।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই ডলে জীবন্ত নারীর মত অনুভূতি না থাকলেও আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। সম্প্রতি এই সেক্স ডলের বিক্রি বেড়ে গেছে। স্লিকন ও থার্মোপ্লাস্টিক ইলাস্টোমার দিয়ে তৈরি নরম এবং মানুষের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের মতো এরও আছে যৌনাঙ্গ।

ইতিমধ্যে সেক্স ডলকে বিয়ে করে কেউ কেউ সংসারও বেঁধেছে। তেমনি একজন ৬১ বছর বয়সী জাপানি সেনজি নাকাজিমা। বেশ কয়েক মাস হলো নিজের স্ত্রী সন্তানকে ছেড়ে দেশটির রাজধানী টোকিওতে একটি বাসাভাড়া নিয়ে সংসার পেতেছেন। 

তবে শুধু সেনজিই নয়, এর আগে রোবটকে বিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন চীনের জিজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা ঝেং জিয়াজিয়া (৩১)। পেশায় রোবট বিশেষজ্ঞ ঝেং বছরখানেক আগে রোবটটি তৈরি করেন। ঠিক মানুষের মতো দেখতে সুন্দরী রোবটটির নাম দেন ইংইং। বুদ্ধিমতী ইংইং কিছু চীনা অক্ষরও পড়তে পারে।

তবে এই প্রেমকে খুব বাজেভাবে দেখছেন গবেষকরা। জাপানের বেশিরভাগ পুরুষই এখন আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেক্স ডলের প্রতি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর মানসিক অবসাদ দূর করতেই জাপানি পুরুষরা সেক্স ডলের দিকে ঝুঁকছেন। জাপানে প্রতি বছর গড়ে ২০০০ সেক্স ডল বিক্রি হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!