ছবি: প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে দলটির মহাসচিব ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণার পর এলাকায় যখন উত্তেজনা ও আলোচনার ঝড়, ঠিক তখনই এক ভিন্নধর্মী বার্তায় দৃষ্টি কেড়েছেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য দেলাওয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে তিনি মির্জা ফখরুলকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতিসন্তান ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী হওয়ায় এটি জেলার জন্য গর্বের বিষয়। তিনি জানান, প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, প্রতিযোগিতা চায় তিনি। জনগণ যাকে বিজয়ী করবে, সবাই মিলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে কাজ করবেন।
দেলাওয়ার হোসেনের এই বার্তা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটি রাজনীতিতে এক নতুন সংস্কৃতির সূচনা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে কিন্তু বিদ্বেষ নয়। উন্নয়ন ও সৌহার্দ্যের এই দৃষ্টান্ত রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেছেন, রাজনীতি মানেই মানুষের কল্যাণ। দল-মতের ঊর্ধ্বে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিএনপির মহাসচিবের প্রার্থিতা জেলার জন্য সম্মানের, আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন মনোভাব রাজনীতিতে সহাবস্থানের বার্তা দেয়।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক কর্মে, উন্নয়নের ভাবনায়, মানুষের আস্থায়। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, সবাই মিলে তার পাশে থাকা উচিত।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান তুহিন মনে করেন, দেলাওয়ার হোসেনের এই মানবিক মনোভাব রাজনীতিতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, রাজনীতি যদি এমন সম্মান, সহনশীলতা ও মানবিক চেতনায় ভরে ওঠে, তাহলে সমাজে ঐক্যও বাড়বে, দেশও এগিয়ে যাবে।
এসএইচ







































