ঢাকা: পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়গুলো পিটিআইয়ের এক একটা গবেষণার বা ল্যাবরেটরি হিসেবে বহুল পরিচিত।
পিটিআইসমূহের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পরীক্ষণ বিদ্যালয়গুলো স্থাপন করা হয়, যার প্রধান উদ্দেশ্য প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তব ভিত্তি মজবুত করা।
প্রাথমিক শিক্ষার নিত্য নতুন ধারনা, নতুন নতুন শিখন পদ্ধতি কিংবা গবেষণা লব্ধ তথ্যের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের একমাত্র স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হলো প্রত্যেক জেলার এই পরীক্ষণ বিদ্যালয়গুলো।
শুধুমাত্র এই বিদ্যালয়গুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে ও গুরুত্বের কারণে পিটিআইসমূহ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পিটিআই ইন্সট্রাক্টর ও পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমগ্রেড ও সমমর্যাদা (১০ম গ্রেড) দেওয়া হতো।
পরবর্তীতে ২০০৩ সালে (ভূতাপেক্ষভাবে ১৯৯৬ সাল) এক আদেশে পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের গ্রেড উন্নয়ন করে ৯ম গ্রেড পদমর্যাদা দেওয়া হয়, কিন্তু আজ অবধি পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো গ্রেড উন্নয়ন করা হয়নি।
যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৮ গ্রেড থেকে দফায় দফায় আপগ্রেড করে বর্তমানে ১৩ গ্রেড করা হয়েছে, আবার প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি ১০ গ্রেড প্রদান করা হলেও, প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেক হোল্ডারদের পদমর্যাদা আজ পর্যন্ত কোন আপগ্রেডেশন করা হয়নি।
বর্তমান সরকার যেহেতু পুরো প্রাথমিক শিক্ষায় একটা বড় সংস্কার করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেখানে যেন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রেড ও পদমর্যাদার আপগ্রেডেশন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় এমনই দাবি সংশ্লিষ্ট সকলের।
এআর







































