• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা, ইউরোপে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ১০:০৯ এএম
রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা, ইউরোপে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা : ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যে ন্যাটোর হাত শক্তিশালী করতে পূর্ব ইউরোপে আরও তিন হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে এমন শঙ্কা থেকে ইউরোপে ন্যাটো সদস্যদের ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা’ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সেনা পাঠাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি)  পেন্টাগন এ তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার।

খবরে বলা হয়, ইউরোপে ন্যাটো সদস্যদের ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা’ নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে দুই হাজার সেনা পাঠাবে আর জার্মানিতে থাকা এক হাজার সেনা পাঠানো হবে রোমানিয়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সামনের দিনগুলোতে এসব সেনা মোতায়েন করা হবে। গত সপ্তাহে পেন্টাগন যে আট হাজার ৫০০ সৈন্যকে উচ্চতর সতর্কতা জারি করেছিল, তাদের থেকে এটি আলাদা এবং এর বাইরে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, তবে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়ানে করা হবে না। দেশটি ন্যাটোর সদস্য নয়। আমরা ন্যাটোর মিত্রদের আশ্বস্ত করা এবং যে কোনো আগ্রাসন থেকে তাদের রক্ষা করতে প্রস্তুত আছি। আর ইউরোপে সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ বিশ্বের জন্য সুস্পষ্ট সংকেত।

হোয়াইট হাউস বুধবার ঘোষণা দেয়, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যের ফোর্ট ব্রাগ থেকে এক হাজার ৭০০ সেনাকে পাঠানো হবে পোল্যান্ডে এবং ৩০০ সেনা পাঠানো হবে জার্মানিতে।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে ‘ধ্বংসাত্মক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার গ্রুসকো বলেন, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ; যা সামরিক উত্তেজনা বাড়াবে এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ সীমিত করবে। 

ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে খুশি ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ।

বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির শক্তিশালী সংকেত।

ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো হয়তো কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।

যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দেশটি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে।

মস্কো আরও একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা চায়। সেটি হলো—সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো তার সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করবে। কিন্তু ওয়াশিংটন ও ন্যাটো রাশিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!