• ঢাকা
  • শনিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

‘ইয়ম কিপ্পুরের’ দিনে ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
‘ইয়ম কিপ্পুরের’ দিনে ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল?

ঢাকা: ইহুদিদের বিশেষ উৎসব ‘ইয়ম কিপ্পুরের’ ছুটিতে তেহরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হতে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। এদিকে, ওই সময়ে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালালেও, তার মাত্রা কিছুটা কম হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হিব্রু বর্ষের প্রথম মাস ‘তিশরেই’। এই মাসের দশম দিনের মাথায় পালিত হয় ‘ইয়ম কিপ্পুর’। দিনটিকে ইহুদিরা ‘পাপমুক্তির দিন’ বলে থাকে। তাদের বিশ্বাস, এই দিন ‘প্রভু’ ইহুদিদের ভাগ্যলিখন শেষে খাতা বন্ধ করেন। এদিন ইসরাইলে সরকারিভাবে ছুটি থাকে ও ইহুদিরা দিনটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমষ্টিগতভাবে প্রার্থনা, অনুশোচনা, উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে পালন করেন।

কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এনিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিদের বিশেষ উৎসব ইয়ম কিপ্পুরের ছুটির মধ্যে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। তবে তেহরানে প্রতিশোধমূলক হামলার মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে তেল আবিব। 

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার জন্য প্রস্তুত। তবে তারা নিশ্চিত নয় যে কখন এই হামলা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রতিশোধের ধরন কেমন হতে পারে, তা নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এমনভাবে হামলার পরামর্শ দিচ্ছে, যাতে তেল ও গ্যাসের স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) নেতানিয়াহু ও বাইডেনের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়। সেখানে তারা ইরানে হামলার বিষয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে পরামর্শ দিয়েছে যে, তাদের প্রতিশোধমূলক হামলা যেন ‘অতিরিক্ত’ না হয়ে যায়।

এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ইরানও এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যাতে ইসরায়েলের প্রতিশোধের মাত্রা কমানো যায়।

গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপরই প্রতিশোধের হুঙ্কার দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়। তবে ওই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা।

নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু যেমন পারমাণবিক স্থাপনা, তেল উৎপাদন কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র, অস্ত্র গুদাম ও ইরানি নেতাদের ওপর হামলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন। তবে ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় আপাতত ইসরাইল হামলা চালাবে না বলে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

সূত্র: এনবিসি, সিএনএন

আইএ

Wordbridge School
Link copied!