নিউইয়র্ক—বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্র ও আধুনিক সভ্যতার প্রতীক শহরের নেতৃত্ব এখন যাচ্ছে জোহরান মামদানির হাতে, যিনি নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখেছেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে, মামদানিকে নিয়োগ করা হলো নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসেবে।
জোহরান মামদানি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায়। তার মা হলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং বাবা মাহমুদ মামদানি একজন সমাজবিজ্ঞানী। পাঁচ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান, এবং পরে নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
২০২০ সালে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হন। ভাড়া, গণপরিবহন ও শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার প্রতি সক্রিয় হওয়ার কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০২৪ সালে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন এবং মাত্র এক বছরের মধ্যে শহরের রাজনীতিতে আলোচিত মুখে পরিণত হন।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া।
মামদানির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিল— স্থায়ী ভাড়ার সীমা নির্ধারণ, গণপরিবহন বিনামূল্যে করা, শিশু যত্নের সার্বজনীন সুযোগ এবং ধনীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে সামাজিক কল্যাণে ব্যয়। এই প্রতিশ্রুতিগুলো শহরের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে দ্রুত সাড়া ফেলে দেয়।
মামদানি শুধু স্থানীয় রাজনীতিতেই নয়, আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও সরব। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে তিনি দৃঢ় অবস্থান নেন। এমন অবস্থানের কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে সমালোচনা ও হুমকি দিয়েছেন, যা উল্টো তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে।
নিউইয়র্কবাসীর ইতিহাসে এবার একজন তরুণ, মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত নেতা শহরের শাসনভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন—যিনি আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
এম







































