• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খরচ বাড়ছে: বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে


লাইফস্টাইল ডেস্ক  সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ১১:৪৪ এএম
খরচ বাড়ছে: বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

ঢাকা: দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ নিয়মিতভাবে বেড়েই চলেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করতে না পেরে কষ্টে দিন কাটছে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। এ ক্ষেত্রে বাসাবাড়ির কিছু খরচ কমিয়ে  আনতে পারেন, যেমন—বিদ্যুৎ বিল। আপনি চাইলেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের খরচ কমিয়ে ফেলতে পারেন। এ জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ ও শক্তি সঞ্চয়ের কয়েকটি উপায় জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লাইভসায়েন্স।

এতে বলা হয়, এমন অনেক উপায় আছে, যার মাধ্যমে আপনি বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি শক্তির খরচ কমাতে পারবেন। এর ফলে আপনি আর্থিক সঞ্চয়ের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর কার্বন ডাইঅক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাবও কিছুটা কমাতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খরচ কমানো যায়—

অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন

সাধারণত অনেকে অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, যেমন—এসি কিংবা টিভি রিমোট দিয়ে বন্ধ করে রাখেন। এতে এসব ডিভাইস পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে স্ট্যান্ডবাই মোডে চলে যায়। এতে সেই ডিভাইসগুলো একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউটিলিটার তথ্য অনুসারে, যন্ত্রগুলোকে স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে দিলে আপনার খরচ ৭৫ শতাংশ বাড়তে পারে। তাই অপচয় রোধ ও আর্থিক সঞ্চয়ের জন্য এসব একেবারে বন্ধ রাখুন।

দৈনিক নিজের কাপড় পরিষ্কার করুন

বিদ্যুতের খরচ বাঁচানোর আরেকটা উপায় হলো প্রতিদিন নিজের ব্যবহৃত কাপড় ধুয়ে ফেলা। কেননা আপনার কাপড় যদি বেশি ময়লা হয়, তবে ওয়াশিং মেশিনে তা পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়ে। তাই কাপড় ধোয়ার সময় মেশিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে আসুন। এতে আপনার বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। এ ছাড়া কাপড় শুকানোর জন্য ড্রায়ারের পরিবর্তে রোদে দিন। এতেও অনেক খরচ বাঁচবে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেকসই শক্তি কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আপনি যদি ওয়াশিং মেশিনের তাপমাত্রা কমিয়ে কাপড় পরিষ্কার করেন এবং ড্রায়ার ব্যবহার না করেন তবে এক বছরে ৭৫ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৭৪ টাকা বাঁচাতে পারবেন।

এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করুন

সাধারণত ঘরের ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ হয় লাইটের কারণে। কেননা সাধারণ বাল্বগুলো বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এ ছাড়া এই বাল্বগুলো পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণও বাড়ায়, যা গ্রিনহাউসে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ জন্য ঘরের খরচ কমাতে ব্যবহার করতে পারেন এনার্জি বাল্ব। কারণ, সাধারণ বাল্বের তুলনায় এটি ৮০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে। এ ছাড়া পরিবেশের জন্যও এটি ভালো, কারণ এটি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন করে না।

সোলার প্যানেল ব্যবহার করুন

দৈনন্দিন জীবনে মানুষের বেশিরভাগ খরচ হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির পেছনে। তবে সূর্যের আলোর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ কমাতে পারেন। যেমন—বিদ্যুৎ বিলের খরচ বাঁচাতে বাড়িতে লাগাতে পারেন সোলার প্যানেল। যদিও সোলার প্যানেল মোটামুটি ব্যয়বহুল। তবে এটি সূর্যের আলোর মাধ্যমে দৈনিক ২০০ থেকে ৩৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। ফলে এটি আপনাকে বিদ্যুৎ বিলের ঝামেলা থেকে চিরমুক্তি দিতে পারবে।

গরম পানির জন্য কেটলি ব্যবহার করুন

রান্নাঘরের কাজের জন্য কেটলির ব্যবহার অপরিহার্য। এ ছাড়া চা কিংবা কফি বানাতে দরকার গরম পানি। তবে পানি ফোটাতে গিয়ে যেমন সময়ের অপচয় হয়, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত গ্যাস বা বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই বারবার পানি গরম না করে তা কেটলিতে রাখতে পারেন। এতে খরচ কিছুটা কমবে।

ফ্রিজ খালি রাখবেন না

ফ্রিজ খালি থাকলেই তা অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে এবং বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসে। এ জন্য সব সময় ফ্রিজ ভর্তি রাখুন। সাউথ ইস্ট ওয়েলস এনার্জি এজেন্সির তথ্য অনুসারে, ফ্রিজে আপনি যত বেশি খাবার সঞ্চয় করবেন, ফ্রিজ তত কম পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। এতে আপনার খরচ তুলনামূলক কম হবে। কেননা ফ্রিজের খালি স্থান ভরাট করতে অতিমাত্রায় ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করে এবং খালি অংশে বরফ জমায়। ফলে এ প্রক্রিয়ায় অতিমাত্রায় বিদ্যুৎ খরচ হয়।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!