• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আল-কুরআনের বৈশিষ্ট্য ও মাহাত্ম্য


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ১৪, ২০২১, ০৭:৪৬ পিএম
আল-কুরআনের বৈশিষ্ট্য ও মাহাত্ম্য

ঢাকা: অতীত যুগের সকল আসমানী গ্রন্থই ছিল নির্দিষ্ট কোন, জাতি বা ভৌগোলিক সীমারেখা বেষ্টিত জনগোষ্ঠীর জন্য এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হিদায়াতের উৎস। কিন্তু কুরআন মাজীদ কোনো নির্দিষ্ট জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, দেশ বা কালকে কেন্দ্র করে নাযিল হয়নি। বরং এটা সর্বকালের সমগ্র বিশ্বমানবতার জন্য হিদায়াতের বাণী নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা চিরন্তন ও বিশ্বজনীন গ্রন্থ। 

আল-কুরআনের বৈশিষ্ট্য ও মাহাত্ম্য

১. শিরক পরিহার
আল-কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে আল্লাহর সাথে কারো শিরক না করা। আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে অংশীদার মনে করা এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন সত্তাকে ইবাদাতের যোগ্য বলে বিশ্বাস করাই শিরক। শিরকের কুফলের কারণেই মানুষ মানুষকে প্রভু ভাবে, প্রকৃতি ও মূর্তি পূজা করে, জড়বাদে বিশ্বাসী হয়, মানব রচিত মতবাদ ও আইনকে কল্যাণকর ভাবে।

কুরআন দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয় “নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে বড় যুলম।” (সূরা লোকমান : ১৩)। সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭৩ এ বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহ ব্যতিত যার পূজা করবে তাদের একটা মাছিও সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই।  

২. পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা
কুরআনই ইসলামী জীবন ব্যবস্থা তথা শরীআতের মূলনীতি ও অনুশাসনের উৎস। কুরআনের উপরই ইসলামের সম্পূর্ণ অবকাঠামো অধিষ্ঠিত। আল্লাহ মানুষকে তার খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা রূপে অবতীর্ণ করা হয়েছে। মানব জাতির বর্তমান ও অনাগত কালের যে সব সমস্যা ও প্রয়োজন দেখা দেবে, তার সব কিছুরই মূলনীতি কুরআনে বলে দেওয়া হয়েছে। 
আল্লাহ তা‘আলা বলেন. “আজ আমি তোমাদের জন্য জীবন ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। আমার নিয়ামত তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য জীবন ব্যবস্থারূপে ইসলামকে মনোনীত করলাম”। (সূরা মায়িদা : ৩) 

৩. চূড়ান্ত দলিল
ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইসলামের নীতি এবং আইন-কানুন সংক্রান্ত যে কোন আলোচনায় কুরআনই চূড়ান্ত দলিল হিসেবে গৃহীত। এতেই মানব জাতির ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের যাবতীয় বিষয় ও ঘটনাবলির বিবরণ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন “এ কুরআন মানব জাতির জন্য সুস্পষ্ট দলিল এবং যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে তাদের জন্য হেদায়াত ও রহমত।” 

৪. চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় উত্তীর্ণ গ্রন্থ
কিছু লোক নিজেদের কুসংস্কার ও জিদের বশবর্তী হয়ে একে মানুষের রচনা বলে অপবাদ রটনা করে। একে কবিতা, যাদু কথা ইত্যাদি বলে উপহাস করে। এতে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এবং অনাগত কাল পর্যন্ত যাদের মনে এমন ধারণা জন্ম দেবে তাদের লক্ষ্য করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, এটা যদি সত্যিই কোন মানুষের রচনা হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা অনুরূপ বাক্য রচনা করে দেখাও। কুরআনের এটা একটি বড় মুজিযা ও বৈশিষ্ট্য যে, কোনো মানুষই প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত কুরআনের অনুরূপ বাক্য রচনা করতে পারেনি। কিয়ামত পর্যন্ত কোনো মানুষ বা জিন তা পারবেও না। সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে কুরআনের এ চ্যালেঞ্জ বিগত দেড় হাজার বছর ধরে ছুড়ে দেয়া আছে। যুগে যুগে বহু মানুষ বিশেষ করে ইসলাম বিরোধী মহল এমনকি ইয়াহুদী খ্রিষ্টান জগৎ এ বিজ্ঞানের যুগেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এ চিরন্তন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় কেউ সফল হয়নি। কুরআন বিরোধী সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ব্যর্থতার  আনত শিরে স্বীকার করে নিজেদের অপারগতা প্রকাশ করে অকুণ্ঠ চিত্তে তারা বলতে বাধ্য হয়েছে “না, এটা কোন মানুষের বাণী নয়।”

৫. অতীব নির্ভুল গ্রন্থ
পূর্ববর্তী উম্মতগণ তাদের প্রতি প্রেরিত আসমানী গ্রন্থ এবং তাদের নবীর শিক্ষা নিজেদের সুবিধামত পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন-বিয়োজন করে। কুরআনই এমন এক গ্রন্থ, যা যাবতীয় বিকৃতির অভিশাপ হতে চিরমুক্ত। “এটা সেই কিতাব; এতে কোন সন্দেহ নেই।” (সূরা আল-বাক্বারা : ২) 

৬. জীবন সমস্যার সমাধান
এ মহান গ্রন্থে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক, আদালতসহ সর্বস্তরে পেশ করেছে নিখুঁত ও শাশ্বত শান্তির সুস্পষ্ট সমাধান। মহানবী (স) এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আল-কুরআন আল্লাহর রশি, আল্লাহর অত্যুজ্জ্বল নূর ও অব্যর্থ মহৌষধ। যে ব্যক্তি সাদরে-সযত্নে কুরআনকে আঁকড়ে ধরবে, সে পাবে মুক্তির আবে-হায়াত, আর সে কখনো ধ্বংস হবে না।” ( বায়হাকী) 

৭. বিশুদ্ধ গ্রন্থ
অতীত উম্মাতগণ তাদের প্রতি প্রেরিত আসমানী গ্রন্থ এবং তাদের নবীর শিক্ষা নিজেদের সুবিধামত পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বিকৃতি ঘটিয়েছে। কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ, যা যাবতীয় বিকৃতি ও ভুল-ত্র“টি থেকে চির পবিত্র।
কুরআনের অবিকৃতি : অতীতকালের সকল আসমানী কিতাব বিকৃত ও পরিবর্তিত হয়ে গেছে, কিন্তু একমাত্র আল-কুরআনই যাবতীয় বিকৃতির অভিশাপমুক্ত অবিকল গ্রন্থ হিসেবে বিদ্যমান। সুতরাং নতুন কোনো আসমানী কিতাবের আর প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই আল-কুরআন একমাত্র অবিকৃত আসমানী কিতাব। 

৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অনুগ্রহ পাবার মাধ্যম
কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অনুগ্রহ পাওয়া যায়। মহানবী (স) বলেন: “কোনো জাতি যখন কোনো মসজিদে সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করতে থাকে এবং পরস্পরকে শিক্ষাদান করতে থাকে, তখন আল্লাহর রহমত ও করুণাধারা তাদেরকে আবৃত করে রাখে। রহমতের ফেরেশতারা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখে। এমনকি স্বয়ং আল্লাহ তার নিকটস্থদের সাথে তাদের সম্পর্কে আলোচনা (গর্ব) করে থাকেন।”
মহানবী (স) আরো বলেন : “যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করে, সে ব্যক্তি যেন কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করে। (মুসলিম) 

৯. হৃদয়ে প্রশান্তি লাভের উপায়
কুরআন তিলাওয়াত মনে প্রশান্তি আনায়ন করে। এর ফলে আল্লাহর রহমত নাযিল হয় এবং আল্লাহর স্মরণ মনে জাগরূক থাকে। আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন: “যারা আল্লাহর ঘরসমূহের কোন একটি ঘরে পরস্পরের মধ্যে এর শিক্ষা চর্চা করে, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হয় এবং আল্লাহর রহমত তাদেরকে বেষ্টন করে রাখে, ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে রাখে, আল্লাহ তার পাশে বিদ্যমান ফেরেশতাগণের মজলিসে তাদের কথা উল্লেখ করেন।” (মুসলিম ও আবু দাউদ)।

১০. ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা সমাধান
কুরআন মাজীদ মানব জাতির সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান পেশ করেছে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত সকল সমস্যার সমাধান আল-কুরআনে নিখুঁতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে তন্মধ্যে প্রধান হচ্ছে দেহ, মন ও আত্মার সংযোগ সাধন এবং পরিশুদ্ধিকরণ। 
তাই কুরআন মাজীদ সর্বপ্রথম তাওহীদ ও রিসালাতে আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা বাস্তবে পরিণত করার মাধ্যমে এগুলোর সমন্বয় সাধন করে। আর ব্যক্তিগত জীবনকে সুন্দর ও মহিমান্বিত করে তোলে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন “জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়।”

১১. পারিবারিক জীবনের সমস্যা সমাধান
আল্লাহ পরিবারের সকল সদস্যের পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্যের মূলনীতি কুরআনে ঘোষণা করেছেন “নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ ও ইহসান কায়েম করার জন্য এবং নিকট আত্মীয়ের হক আদায় করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন।” (সূরা নাহল : ৯০)  ।

১২. সামাজিক জীবনের সমস্যা সমাধান
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ না হয়ে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মানুষ বসবাস করতে পারে না। সমাজ জীবনে মানুষের বড় সমস্যা হল প্রতিবেশীদের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। সমাজে বসবাস করতে হলে একের প্রতি অপরের কিছু না কিছু হক বা অধিকার অবশ্যই থাকে। আর এই হক আদায় করলেই সামাজিক শান্তি আসতে পারে, অন্যথায় অশান্তি সৃষ্টি হতে বাধ্য। তাই আল্লাহ তা‘আলা প্রতিবেশীর হক আদায় করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন : “তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং তার সাথে কাউকে শরীক কারো না এবং মাতা-পিতা, নিকট আত্মীয়-স্বজন,
এতীম, মিসকীন, প্রতিবেশী,  বন্ধু-বান্ধব এবং অসহায় মুসাফির-এর প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।” (সূরা আন-নিসা : ৩৬)।

১৩. রাষ্ট্রীয় জীবনের সমস্যা সমাধান
সমাজ ও রাষ্ট্রে অন্যায়-অত্যাচারের উপযুক্ত বিচার না হলে অশান্তি সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ ঘটে। তাই আল্লাহ তা‘আলা রাষ্ট্রে ইনসাফ ও ইহসান কায়েমের হুকুম দিয়েছেন। দুনিয়ায় অশান্তির মূল কারণ হল মানুষের মনগড়া আইন এবং অসৎ লোকের শাসন। শান্তির মূল হল আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন। মনগড়া আইনের পরিবর্তে আল্লাহর আইন চালু করা না হলে মানব সমাজে শান্তি আসতে পারে না।  আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, “যারা আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে না তারা কাফের।” (সূরা মায়িদা : ৪৪)

১৪. অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান
ধনীদের মধ্যে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়ে যাতে জনগণের মধ্যে মারাত্মক ধনবৈষম্য সৃষ্টি হয়ে অশান্তির কারণ না ঘটে সেজন্য আল্লাহ কুরআন মাজীদে বলেন “ধন-সম্পদ যেন তোমাদের মধ্যকার ধনীদের মধ্যেই কেন্দ্রীভূত (পুঞ্জিভূত) না হয়ে পড়ে।” (সূরা হাশর : ৭) সম্পদ যাতে দেশের কিছু লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত না হতে পারে সেজন্য আল্লাহ যাকাত, ফিতরা, সাদকা ও উত্তরাধিকার আইনের ব্যবস্থা করেছেন। সুদের মাধ্যমেও সমাজে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়। এতে অনেক অনাচার সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই আল্লাহ সুদকে হারাম করে দিয়ে ব্যবসায়-বাণিজ্যকে হালাল ঘোষণা করে বলেছেন :“আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন।” (সূরা বাকারা : ২৭৫) ঘুষ, জুয়া, মদ্যপান ইত্যাদি দ্বারা সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এজন্য এগুলোকেও ইসলামে হারাম করা হয়েছে। 

১৫. ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক জীবনে
মানুষ কেবল দেহসর্বস্ব জীব নয়। মানুষের রয়েছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তা হল- আধ্যাত্মিক জীবন। আধ্যাত্মিক জীবনের সমস্যাবলির নির্ভুল ও সঠিক সমাধান দান করেছে আল-কুরআন। কুরআন মজীদ মানব জীবনের যাবতীয় সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করেছে এক বিশ্বজনীন ও সামগ্রিক কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা। কুরআনে উপস্থাপিত এ জীবন ব্যবস্থা বিশ্বমানবতার সকল সমস্যার সমাধানে সর্বদা
সক্ষম। কাজেই দ্বিধাহীনভাবে বলতে হয়- “আল-কুরআনই জীবন সমস্যার একমাত্র সমাধান। 

১৬. আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা
কুরআন মহান আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদে বিশ্বাসের গুরুত্ব ও তারই আনুগত্য প্রকাশ ও তারই কাছে আত্মসমর্পণ করার শিক্ষা দেয়। তাওহীদের অর্থ কথায় কাজে আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করা, তারই ইবাদাত করা, তারই কাছে সাহায্য চাওয়া, সুখে-দুঃখে তারই ওপর ভরসা করা, তারই প্রতি নিষ্ঠা ও একাগ্রতা প্রকাশ করা এবং তারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। এজন্য প্রত্যেক যুগের সকল নবী-রাসূল আল্লাহর এ তাওহীদের শিক্ষাই প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। কুরআন স্পষ্ট ভাষায় আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বমানবতাকে আহ্বান জানিয়েছে। সকল নবী-রাসূলের আহ্বান ছিল “হে আমার জাতি! আল্লাহর ইবাদাত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের আর কোনো ইলাহ নেই, তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না।” (সূরা আল-মুমিন : ২৩)।

১৭. সর্বশেষ নবীর প্রতি নাযিলকৃত সর্বশেষ কিতাব
আসমানী কিতাবের মধ্যে সর্বশেষ গ্রন্থ হলো আল-কুরআন। সর্বশেষ ও বিশ্বনবীর প্রতি অবতীর্ণ গ্রন্থ আল-কুরআন সর্বশেষ এবং বিশ্বজনীন। তার প্রতি নাযিলকৃত গ্রন্থের পরে আর কোন আসমানীগ্রন্থ অবতীর্ণের অবকাশই নেই। কিয়ামত পর্যন্ত তাই ইটি সর্বশেষ আসমানী কিতাব। এরকম আরো বহুগুনে গুনান্বিত পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!