• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিক্রি কমেছে অ্যাপল ওয়াচের


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক মে ২৩, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
বিক্রি কমেছে অ্যাপল ওয়াচের

ঢাকা: ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) অ্যাপল ওয়াচের বিক্রি ১৯ শতাংশ কমেছে। বছরের শুরু থেকেও এই পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে, কেবল একবার নয়—পুরো বছরজুড়েই অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ সেলস চাপে ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে সিরিজ ৯ এবং ২০২৪ সালে সিরিজ ১০-এ কোনো বড় পরিবর্তন না থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ কমে যায়। একই রকম ডিজাইন, হার্ডওয়্যার ও ফিচার – আগের মডেল ব্যবহারকারীদের আপগ্রেড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায়নি।

যখন অ্যাপলের বিক্রি কমছে, তখন চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে, জিওমি ও অ্যামেজফিট-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো তাদের স্মার্টওয়াচ বিক্রি বাড়িয়ে নিচ্ছে। নতুন ফিচার, কম দাম এবং ফ্যাশনেবল ডিজাইনের কারণে চীনা স্মার্টওয়াচ ব্র্যান্ডগুলো দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।

বিশেষ করে এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার বাজারে অ্যাপলের তুলনায় তারা অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছে। ফলাফলস্বরূপ, বিশ্ব বাজারে অ্যাপলের শেয়ার ধীরে ধীরে কমছে।

অ্যাপল ওয়াচ বিক্রিতে পতনের আরেকটি বড় কারণ হলো আইনি জটিলতা ও প্রযুক্তিগত পেটেন্ট বিরোধ। মার্কিন মেডিকেল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাসিমো-এর সঙ্গে রক্তে অক্সিজেন পরিমাপক সেন্সর নিয়ে চলছিল দীর্ঘদিনের বিরোধ।

এর ফলে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল ওয়াচ বিক্রি বন্ধ করতে বাধ্য হয় অ্যাপল। পরে সেই সেন্সর ফিচার সরিয়ে নিতে হয়। ক্রেতারা একে "পুরো অভিজ্ঞতার ঘাটতি" হিসেবে দেখছেন, যা বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

উত্তর আমেরিকা অ্যাপল ওয়াচের সবচেয়ে বড় বাজার। কোম্পানিটির মোট বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় এই অঞ্চল থেকেই। কিন্তু ২০২৪ সালে এই মার্কেটেই সবচেয়ে বড় পতন দেখা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তারা নতুনত্বের দিকে বেশি আগ্রহী। সিরিজ ১০-এ নতুন কিছু না থাকায় অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপগ্রেড না করার। ফলে বিক্রির সংখ্যা আশানুরূপ হয়নি।

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!