• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহদের সামনে মুশফিকদের রানের পাহাড়


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৮:২৫ পিএম
মাহমুদউল্লাহদের সামনে মুশফিকদের রানের পাহাড়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে অবস্থান করছে খুলনা টাইটান্স। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে, চার খেলায় তিনটিতে জিতে টেবিলের চার নম্বরে থাকা চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হয়েছে মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৬ষ্ঠ আসরে সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে খুলনাকে ২১৫ রানের জয়ের টার্গেট দিয়েছে মুশফিকুর রহীমের চিটাগং।  

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান করে চিটাগাং ভাইকিংস।

এরপর খোলস থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে উইকেট হারান চিটাগাংয়ের দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দলীয় ১৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নামা ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান চিটাগাংয়ের আফগানিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। প্রথম ৯ বলে তিন রান করা এই ওপেনার, চতুর্থ ওভারে শরিফুলের বলে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।

এরপর পঞ্চম ওভারে এক বল খেলার সুযোগ পেয়ে বাউন্ডারি হাঁকান শুভাশীষ রায়কে। ঠিক পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকান শেহজাদ। ঠিক পরের বলে উইকেটকিপার ব্রান্ডন টেইলরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন চিটাগাংয়ের এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে তিন চার ও সমান ছক্কায় ৩৩ রান করেন শেহজাদ।

৫৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চিটাগং প্রতিরোধ গড়েছে মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর জুটিতে। তারা দু'জনেই তুলে নেন ফিফটি। চলতি বিপিএলে প্রথম ফিফটি করে সাজঘরে ইয়াসির। অন্যদিকে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তারা।

৩৬ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৫৪ রান করে ডেভিড ওয়াইজের বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন ইয়াসির। এর আগে দুই ম্যাচ খেলে ৪১ ও ৪ রান করেন চিটাগাংয়ের এই স্থানীয় ক্রিকেটার। ডেভিড ওয়াইজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৩ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এর আগের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম।

মুশফিকের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সানাকা। তাকে সঙ্গ দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ পর্যন্ত সানাকা মাত্র ১৭ বলে ৪২ এবং নাজিবুল্লাহর ৫ বলে ১৬ রানের কল্যানে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তুলতে সমর্থ হয় চিটাগাং ভাইকিংস। এটি বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। 

চলতি আসরে মোটেও সুবিধা করতে পারছে না রুপসা পড়ের দলটি। ঢাকা পর্বে তো জয়ের মুখই দেখেনি মাহমুদউল্লাহরা। সিলেটে পর্বে প্রথম জয়ের দেখা পায় খুলনা। তবে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি খুলনার খেলোয়াড়রা। ঢাকায় মুশফিকের চিটাগংয়ের বিপক্ষে প্রথম মোকাবিলায় হেরেছিল খুলনা। প্রথম লড়াইয়ে সুপার ওভারে জিতেছিল চিটাগং। ফিরতি ম্যাচে খুলনার জয়ের বিকল্প নেই। ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে সবার শেষে তারা।

অপরদিকে বিপিএলের চলমান আসরে ইতিমধ্যে চারটি ম্যাচ খেলেছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগাং ভাইকিংস। চার খেলায় তিনটিতে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে আছে চিটাগাং।

খুলনা টাইটানস একাদশ: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), জুনায়েদ সিদ্দিক, পল স্টারলিং, ব্রেন্ডন টেলর (উইকেটরক্ষক), আল আমিন, আরিফুল হক, ডেভিড উইজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, লাসিথ মালিঙ্গা, শুভাশিষ রায়।

চিটাগং ভাইকিংস একাদশ: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), ক্যামেরন ডেলপোর্ট, ইয়াসির আলী, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোসাদ্দেক হোসেন, দাসুন শানাকা, নাঈম হাসান, সানজামুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!