• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শবে বরাতে হালুয়া-রুটির ইতিহাস


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ২১, ২০১৯, ১২:৩৮ পিএম
শবে বরাতে হালুয়া-রুটির ইতিহাস

ঢাকা : শবে বরাতের সঙ্গে হালুয়া-রুটির বিষয়টি এলো কোত্থেকে। তার পিছনে ইতিহাস রয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ববর্তী যুগে এখনকার মতো মুসাফির যাত্রীদের থাকার জন্যে আবাসিক হোটের-মোটেলের ব্যবস্থা ছিলো না। তখন পথচারীদের বিশ্রামের জন্যে ছিলো সরাইখানা কিংবা মুসাফিরখানা। সফর অবস্থায় প্রয়োজনে মানুষ সেখানে রাত্রিযাপনও করতেন।

আর এখানকার দায়িত্বশীল যারা ছিলেন, তারাই মুসাফিরদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তো কোনো মুসাফির পবিত্র শবে বরাতে এসব স্থানে রাত্রি যাপন করলে হয়তো তিনি সারারাত ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাতেন ও পরের দিন রোযা রাখতেন। যেহেতু স্বাভাবিকভাবে হালুয়া-রুটি ও গোশত-রুটি খাওয়া সুন্নাত, তাই তারা হালুয়া, রুটি, গোশত ব্যবস্থা করতেন সচরাচর।

এছাড়াও আরব এলাকার লোকদের প্রধান খাদ্য রুটি-হালুয়া বা রুটি-গোশত। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া-রুটির প্রচলন আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ে। (আত্‌তাহযীর মিনাল বিদা)

হালুয়া-রুটি খাওয়া কি নাজায়েয? : প্রশ্ন হতে পারে- কেউ যদি আরশের ছায়া জাতীয় কোনো ভুল ধারণা না রেখে বা নিজের ইবাদতে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে শবে বরাত উপলক্ষে এ ধরনের হালুয়া-রুটির ব্যবস্থা করে, তাহলে কি তা না জায়েয হবে? উত্তর হলো, না, কিছুতেই নয়।
উপরন্তু কেউ যদি ইবাদত গুজার বান্দাদের ইবাদত-বন্দেগি ও রোযা পালনের সুবিধার্থে হালুয়া-রুটি অথবা আমাদের দেশে প্রচলিত কোনো খাবারের ব্যবস্থা করে, তাহলে তা অবশ্যই অশেষ ফজিলত ও সাওয়াবের কারণ হবে।

হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রচলন করো, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষা করো এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়ো তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ) আমাদের উচিত ভিত্তিহীন রসম-রেওয়াজ থেকে বিরত থেকে এ রাতের যে ফজিলত আছে, সে অনুযায়ী আমল করা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!