ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব সংঘঠিত হবে। তিনি বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। নির্বাচন ঠিকভাবে হলে আগামী পাঁচ বছরে দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব সংগঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৫ জুন) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ড. আবদুল্লাহ ফারুক মিলানায়তনে ‘ফান্ডামেন্টালস অব ইন্সুরেন্স’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। বইটির লেখক এ কে এম ইহসানুল হক ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম নিজে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, এসিআই লিমিটেড এর চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিষয়ক সচিব ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন-বিআইএর সভাপতি শেখ কবির হোসেন, ডিআইজি মিজান প্রমুখ।
এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, একটি ইন্সুরেন্স সেক্টর যদি সুসংগঠিত হয়, সেটা জিডিপিতে ২ থেকে ৭ শতাংশ অবদান রাখতে পারে। আমাদের দেশে সেটা দশমিক চার শতাংশ। এটা একটি দৈন্যদশা।
বঙ্গবন্ধু শস্য (ক্রপ) ইন্সুরেন্স এর ব্যাপারে বলেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য সেবা, গাড়ি, বাড়ি সবকিছুতেই ইন্সুরেন্স। সেখানকার মানুষেরা মরতেও ভয় পায় না যদি তাদের ইন্সুরেন্স করা থাকে। রেগুলেটর সেক্টর শক্তিশালী না হলে ইন্সুরেন্স সেক্টর স্থায়িত্ব করে না। ‘ফান্ডামেন্টালস অব ইন্সুরেন্স’বইয়ে প্রফেশন্যাল অ্যাসপেক্টের সকল দিক কাভার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি লেকখদ্বয়কে ধন্যবাদ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান একটি যুগোপযোগী বই উল্লেখ করে বলেন, ইন্সুরেন্স সেক্টরটা দেশে অবহেলিত ছিল। এখন এটা শক্তিশালীরুপে আবির্ভূত হচ্ছে। ইন্সুরেন্স সেক্টর শক্তিশালী করার জন্য শক্তিশালী রেগুলেটর দরকার। রেগুলেটর যত শক্তিশালী হবে ইন্সুরেন্স সেক্টরগুলোও তত শক্তিশালী হবে।
ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স এর সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, সম্পদ যত বাড়বে ইন্সুরেন্স এর গুরুত্ব তত বাড়বে। ইন্সুরেন্স সেক্টরে কিছু আইন রয়েছে। এই আইনগুলোর প্রয়োগ বাড়াতে পারলে ইন্সুরেন্স সেক্টরের অপবাদ ঘুচবে, মানুষের আস্থা বাড়বে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশে চারটি রেগুলেটর আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইন্সুরেন্সকে একটি ফরমাল সেক্টর করতে পারলে এর প্রতি অপবাদ ঘুচবে। সেটার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।
আনিস উদ দৌলা বইটির লেখকদের ধন্যবাদ প্রদান করে বলেন, ইন্সুরেন্স এ ভালো রেগুলেটর ব্যবস্থা নেই। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের মাধ্যমে ভালো ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন ইন্সুরেন্স উৎপন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বইটি সম্পর্কে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ইন্সুরেন্সের সঠিক শিক্ষা ব্যবহারিক শিক্ষা কোনোটাই দেশে নেই। এটি একটি অবহেলিত সেক্টর। ইন্সুরন্স শিক্ষা সঠিকভাবে মানুষের কাছে না পৌঁছানোর কারণে তারা বুঝতে পারে না এর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত কত উজ্জ্বল হতো। এসব বিবেচনা করে তিনি বইটি লেখায় অগ্রসর হন। বইটি ১৮চ্যাপ্টার ও ১৫৫ পৃষ্ঠা আছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :