• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘এখন আমি ফ্লোরে ঘুমাই’


আদালত প্রতিবেদক জুন ১৫, ২০১৭, ০৫:২৬ পিএম
‘এখন আমি ফ্লোরে ঘুমাই’

ঢাকা: সরকার আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। আমার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও আমার সন্তানদের স্মৃতি বিজড়িত জিনিস পত্র নষ্ট করেছে। আমি নতুন ফ্লাটে এখন ফ্লোরে ঘুমাই। কথাগুলো বলছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এক সংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এ সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, বাড়ির মালিক ইনজে ফ্রানজ মারা যাওয়ার পর তার একমাত্র পুত্র করিম ফ্রানজ সুলায়মানই এই বাড়ির মূল মালিক। ইটস এ ম্যাটার বিটুইন টু প্রাইভেট পার্টিস। সরকার বা রাজউকের এই ব্যাপারে কোন স্বার্থ থাকতে পারে না।

‘এই উচ্ছেদ অভিযানে কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মালামালের কোনো হদিস নাই।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আদালতের কোনো আদেশ ছাড়া কোন বাড়ির দখলদারকে উচ্ছেদ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এই উচ্ছেদ করার জন্য আদালতের কোন নির্দেশ তাদের ছিল না। তারপরও বিনা নোটিশে এবং বিনা অনুমতিতে বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ এবং ব্যারিস্টার মওদুদকে উচ্ছেদ করে সংবিধানে প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে’।

পরে এক প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমার যে সারা জীবনের সংগ্রহ, এর মধ্যে এক হাজার বছরের পুরোনা ইজিপশিয়ান মাটির বাটি হারানো গেছে। সে ধরনের অনেক সংগ্রহ। আমার প্রয়াত দুইপুত্রের স্মৃতি ধংস করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে। ৩৪ বছর পর এসে বললেন বাড়ির মালিক সরকার। জজকোর্টেও বললেন না, হাইকোর্টেও বললেন না।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কথা বলেন। আমি শিউর তারা রায় না পড়ে কথা বলছেন। কারণ রায়ে কোথাও বলা নেই আমাকে এ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। বের করে দিতে হবে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। একেবারে জোর করে বেআইনিভাবে চর দখলের মতো আমার বাড়িটা দখল করেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, তারা অনেক কিছু ভেঙ্গে ফেলেছে। খাটও ভেঙ্গে ফেলেছে। আমার শংকর নামে পুরানো একজন মিস্ত্রি আছে, সে এসে ঠিক করবে। এখন মাঠটিতে, ফ্লোরে ঘুমাই। ঠিক করলে তারপর খাঠে ঘুমাবো।

বিফ্রিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া, তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ।    

গত ৪ জুন মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে গুলশানের ১৫৯ নম্বর বাড়িটি নামজারি করতে করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৭ জুন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাড়িটি দখলে নিয়ে সিলগালা করে নেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!