• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার অবর্তমানে দলের নেতৃত্বে ৫ নেতা


বিশেষ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭, ০১:৩৮ এএম
খালেদার অবর্তমানে দলের নেতৃত্বে ৫ নেতা

জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কয়েক মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে বলে ধারণা আইনজীবী ও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। এর ফলে কয়েকদিন তাকে কারাগার এমনকি ‘সাময়িক’ রাজনীতি থেকেও দূরে থাকতে হতে পারে। 

এমন সংকটময় সময়ে বিএনপি কার নেতৃত্বে চলবে তা নিয়ে দলের সর্বমহলে এখন আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি সমর্থক এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় দলের কয়েক নেতা ও থিংকট্যাংকের সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে খালেদা জিয়ার অবর্তমানে পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। বেগম জিয়ার বিশ্বস্ত কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এবং দলীয় থিংকট্যাংক হিসেবে পরিচিতরা গত কয়েকদিন ধারাবাহিক বৈঠক করে নামগুলো চূড়ান্ত করেছেন। তবে যাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আপদকালীন কমিটিতে রাখা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন বেগম জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসন তার ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী ও থিংকট্যাংকে তার অবর্তমানে কারা দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাদের তালিকা দিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন বৈঠক করে ৫ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

যাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। 

এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম কৌশলগত কারণে রাখা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের ‘রোষানলে’ থাকা ফখরুল বিভিন্ন মামলায় জামিনে আছেন। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে কোনো মামলার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হতে পারে। যেহেতু তিনি দলের মহাসচিব, তিনি গ্রেপ্তার হলে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হতে পারে; সে জন্য তার নাম না রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন বুদ্ধিজীবীরা।

এ বিষয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো এতো সহজ হবে না। তাকে কারাগারে পাঠাতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে নিতে হবে।

বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, আপদকালীন কারা নেতৃত্বে আসতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেগম জিয়াও চিন্তা করছেন। আমরাও আলোচনা করছি। নেতৃত্বে কারা থাকবেন তা ঠিক হচ্ছে। তবে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হবে না এটা নিশ্চিত। এত বড় দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য লোকের অভাব হবে না।

দলের এক নেতা বলেন, বেগম জিয়ার ধারণা, তার দলকে বিভক্ত করতে কয়েকজন নেতা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছেন। এদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির দুই নেতাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন তিনি। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কয়েকজনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনাও করবেন। যাদের ওপর বেগম জিয়া আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারবেন, তাদের দায়িত্ব দেবেন তিনি। সেক্ষেত্রে পাঁচজনের তালিকা পরিবর্তন হতে পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!