• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৯, ২০১৭, ১০:৪৯ এএম
বিএনপিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি

ঢাকা : নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। নতুন বছরের শুরু থেকেই সক্রিয় আন্দোলনে মাঠে নামবে দলটি। তার আগে চলতি বছরের বাকি দেড় মাস দল গোছানো এবং জনমত গড়ে তোলার কাজ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফলে আপাতত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সভা-সমাবেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে দলটির কার্যক্রম। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা এসব তথ্য দিয়েছেন।

জানা গেছে, এখনই সর্বাত্মক সক্রিয় আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই বিএনপির। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার সমঝোতার পথে না আসলে আন্দোলনের পথে পা বাড়াবে বিএনপি। আর তা নতুন বছরের শুরুতেই ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে। এর আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, গুম-খুনসহ সরকারের নানা অনিয়ম তুলে ধরে জনমত গড়ে তুলতে কাজ করবেন দলের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আরেকটি ‘বড় সমাবেশ’ করতে চাইছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে দলীয়ভাবে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সমাবেশের মাধ্যমে বিজয়ের মাসেই ‘বিজয়’ বার্তা দিতে চান বিএনপি প্রধান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন সিনিয়র বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা শেষে ফেরার পর তেমনভাবে সাংগঠনিক কাজ করতে পারেননি। গত সোমবার থেকে তিনি সাংগঠনিক কাজে হাত দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই এসব কাজ শেষ করবেন। সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত করেই আগামী নির্বাচনের রসদ জোগাড় করবেন ম্যাডাম।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই তারা (ক্ষমতাসীনরা) এত সহজে আমাদের দাবি মেনে নিবে না। দাবি আদায়ে এখন আমাদের সামনে আন্দোলন ছাড়া কোনো পথই খোলা নেই। তবে এখনই আমরা সক্রিয় আন্দোলনে যাচ্ছি না।

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছি। দাবি আদায়ে নেতাকর্মীরাও সক্রিয় হচ্ছেন। সোহরাওয়ার্দীতে একটি সফল সমাবেশ করেছি। এর মাধ্যমে নেতাকর্মীরা অনেক চাঙ্গা। সরকার নিরপেক্ষ সরকারের দাবি না মানলে আন্দোলনে যেতেই হবে।

তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ম্যাডাম কয়েক দিন ব্যস্ত ছিলেন। যে কারণে কমিটি নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ১৮টি সাংগঠনিক কমিটি বাকি আছে, আশা করি ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে নভেম্বরের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ হবে।

একই প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বলেন, আন্দোলনের জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করতে হয়। এজন্য সংগঠন লাগে, জনসমর্থন লাগে- সেটা নিয়েই এখন কাজ চলছে। আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং সমাবেশের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলছি। মাড্যাম জনমত গঠনে কাজ করছেন। এটা শেষ হলেই আমরা সক্রিয় আন্দোলনে যাব।

এছাড়া সক্রিয় আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, আন্দোলন মানেই লাঠি-সোটা নিয়ে মারামারি করতে হবে এমন নয়। সামবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা জাগ্রত হচ্ছে, শোডাউন করছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলনের প্রক্রিয়া। দাবি আদায়ে সক্রিয় আন্দোলন প্রয়োজন। আমরা সক্রিয় আন্দোলনে আছি, এটা আরো বেগবান করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!