• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিয়ের দাবিতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে তরুণীর অনশন


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭, ১০:৪৩ এএম
বিয়ের দাবিতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে তরুণীর অনশন

ঠাকুরগাঁও: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম। জীবন মরণের সঙ্গী হওয়ার স্বপ্নও দেয় একে অপরকে। তাইতো নারীর সর্বস্বও দিয়ে-দেয় মেয়েটি। কিন্তু, তার সেই সঙ্গী যে ধোকা দেবে, সে কথাটি কী ভেবেছিল? তাকে পাবার জন্য যখন সে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে প্রতারিত হলো। বাধ্য হয়েই ১৪ দিন যাবৎ আমরণ অনশনে মেয়েটি।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়। বিয়ের দাবিতে ১৪ দিন ধরে মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়িতে আমরণ অনশন করছেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। 

গত ২ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য সামসুন নাহারের বাড়িতে অনশন শুরু করে ওই তরুণী। ওই তরুণী জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে।

অনশনরত মেয়েটি বলেন, গত এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের রিয়াজুল হকের ছেলে নাসিম উদ্দীনের পরিচয় হয়। নিয়মিত কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাসিম উদ্দীন বিয়ের কথা বলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে ওই কিশোর বিয়ে নিয়ে টালবাহানা শুরু করে এবং বিষয়টি অভিভাবকদের জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। 

কোনো উপায় না পেয়ে গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) থেকে সে তার প্রেমিক নাসিম উদ্দীনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে যায়। এরপর সেখানে প্রেমিকের বাবা রিয়াজুল হকসহ ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে মারপিট করে।

পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কিশোরী তানজিলা পারভীনকে প্রেমিক নাসিম উদ্দীনের ফুপু মহিলা ইউপি সদস্য সামসুন নাহারের জিম্মায় রেখে দেয়। এরপর থেকেই ওই কিশোরী বিয়ের দাবিতে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতেই আমরণ অনশন শুরু করে।

দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন কিশোরী তানজিলা পারভীন।

মহিলা ইউপি সদস্য সামসুন নাহার বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্যরা মেয়েটিকে আমার জিম্মায় দিয়েছিল। তারপর মেয়েটিকে আমি অনেকবার বাড়িতে ফিরে যেতে বলেছি; কিন্তু সে বাড়িতে ফিরে যাবে না বলে জানায়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমার চাচাতো ভাই রিয়াজুল হককে অনেকবার বলেছি; কিন্তু সে কোন কথাই শোনে না।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রেমিক নাসিম উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ছেলের বাবা রিয়াজুল হক বলেন, আমি ও আমার পরিবার এই মেয়েটিকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারব না। আপনাদের যদি কিছু করার থাকে তাহলে আপনারা করতে পারেন।

কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি সহ আমার ইউপি সদস্যরা মিলে উভয় পকে নিয়ে সমাধাণের চেষ্টা করেছি; কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। ছেলে পক্ষ কোনোভাবেই বিয়েতে রাজি নয়।

এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!