• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজপথের আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকবে জামায়াত


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮, ০২:০৬ পিএম
রাজপথের আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকবে জামায়াত

ঢাকা : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছেন।  তাকে কারাগারে রেখে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। সেজন্য মামলায় জামিন পাওয়ার পরও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন হবে না।  নির্বাচন হতে দেবে না জনগণ।’

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চলছে।  রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এ প্রতীকী অনশনে বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।

পূর্ব নির্ধারিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলে। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিএনপিকে মৌখিক অনুমতি দেয়।

বিএনপির প্রতীকী অনশনে জামায়াত ইসলামীর সংহতি রয়েছে জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর জুলুম করছে।  জেলের ভেতর আদালত বসিয়ে খালেদা জিয়ার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।’ খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ রাজপথে সব আন্দোলন কর্মসূচিতে বিএনপির পাশে থাকবে জামায়াত।  অনশনে বিএনপি-জামায়াতসহ বিশ দলীয় জোটের শরিকদলগুলোর নেতারাও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

সম্প্রতি সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন না জানিয়ে জামায়াতের আলাদা প্রার্থী দেয়া এবং বিএনপির কর্মসূচিতে দলটির অনুপস্থিতিও নানা গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।

এর মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে জামায়াত নেতা পরওয়ার বেশ জোরাল বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘দেশনেত্রীর (বিএনপি চেয়ারপারসন) ওপর বর্বরোচিত অত্যাচার করা হচ্ছে। আদালত তাকে জামিন দিলেও সরকার তাকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছে না। আমরা জামায়াত ইসলামী বিএনপির এই অনশনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, দেশনেত্রীকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন তাকে ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।  জনগণ হতে দেবে না।’

অনশনে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আর বিএনপির পক্ষ থেকে এক মাসের মধ্যে নৌকা (আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভাসিয়ে দেয়ার আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!