ঢাকা: সেই নব্বই দশক থেকেই শেকড়ের সন্ধানে স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে ইত্যাদি। তুলে ধরছে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে মেঘনা-তেতুলিয়া নদী বিধৌত দ্বীপ জেলা ভোলার ঐতিহ্যবাহী পরিকল্পিত জনপদ চরফ্যাশনে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল বৃটিশ আমলে তৈরি প্রায় শত বছর প্রাচীন ঐতিহাসিক ট্যাফনাল ব্যারেট স্কুলের সামনে।
ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো ভোলা জুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ। দুপুরের পর থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হতে শুরু করেন দর্শকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হন তাদের ভালোবাসার অনুষ্ঠান দেখার জন্য। স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বে ভোলায় কখনও কোন অনুষ্ঠানে এত দর্শক সমাগম হয়নি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভোলা জেলাকে নিয়ে রয়েছে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছে এস কে জাহিদ, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ও তানজিনা রুমা। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজন করেছেন মেহেদী।
এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে পর পর দু’বার পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা প্রথম ও একমাত্র বাঙালি ভোলার সন্তান এম এ মুহিতের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার। দ্বিতীয়বার তিনি ও নিশাত মজুমদার যখন একসঙ্গে এভারেস্ট জয় করেছিলেন-তখন তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিল ‘ইত্যাদি’ লেখাটি। কিন্তু কেন, সেসবের উত্তরও পাওয়া যাবে এই সাক্ষাৎকারে।
শেকড় সন্ধানী ইত্যাদি সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিবেদিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি অনবদ্য প্রতিবেদন। রয়েছে ভোলা ও এর বিভিন্ন উপজেলার উপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ভোলা গ্রাম ও গুলশান নিয়ে রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা জেলায় যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল, একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় সেই ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে একটি পর্বে।
পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অনেক আগে থেকেই ভোলায় শুরু হয় মহিষকে কেন্দ্র করে এক অনন্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম। মহিষের বাথান ও মহিষ নিয়ে রয়েছে আর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। নদী বেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে মৎস্য খাত। তবে জীবিকার তাগিদে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন অনেক জেলে। তেমনি একটি জেলে পরিবারের করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এবারের পর্বে। এবারে বিদেশি প্রতিবেদন দেখানো হবে চীনের বেইজিংয়ের দুর্দান্ত সামার প্যালেসের উপর। গ্রীষ্মকালীন এই প্রাসাদটি প্রাসাদ, বাগান এবং হ্রদের একটি কমপ্লেক্স।
গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্বটি আগামী ২৯ আগস্ট, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
ইউআর







































