ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিদেশি নাগরিকদের বেশকিছু কঠিন ধাপ পেরোতে হয়। তবে কিছু দেশ আছে; যেসব দেশের নাগরিকদের বিয়ে করলেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যান ভিনদেশীরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি দেশ সম্পর্কে-
*স্পেন
দক্ষিণ ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ স্পেনের নাগরিককে বিয়ে করলে আপনি এক বছরেই পেতে পারেন দেশটির নাগরিকত্ব। স্পেনের আইনে বলা আছে, স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করলে তার সঙ্গে এক বছরের বসবাসেই আপনি স্পেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। একবার এই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে এর পাশাপাশি আপনি পাবেন লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা। নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য আপনার লাগবে স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ। এছাড়া স্প্যানিশ ভাষার প্রাথমিক দক্ষতা ও তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানও অনেক সময় কাজে লাগে।
*আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনায় স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়ে যেতে পারেন, যদি বিয়ে করেন আর্জেন্টিনার কোনো নাগরিককে। মাত্র দুই বছর পরই আপনি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বৈধ বিয়ের প্রমাণের পাশাপাশি লাগবে সেই দেশে কোনো অপরাধ না করার প্রমাণ ও সাধারণ স্প্যানিশ ভাষার জ্ঞান।
*মেক্সিকো
মেক্সিকোর আইন অনুযায়ী, একজন মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করলে তার সঙ্গে মাত্র দুই বছর বসবাস করলেই আপনি দেশটির নাগরিকত্ব পেতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার থাকতে হবে স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক দক্ষতা, বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পেলেও আপনি আগের দেশের পাসপোর্ট রাখতে পারবেন।
*তুরস্ক
তুরস্কে বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে থাকলেই মেলে নাগরিকত্ব। লাতিন আমেরিকা বা ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো তুরস্কের নাগরিকত্বের জন্য সেই দেশের ভাষা বা সংস্কৃতি জানার প্রয়োজন নেই। তিন বছর একসঙ্গে বৈধভাবে দাম্পত্য জীবন কাটালেই করতে পারবেন নাগরিকত্বের আবেদন। এছাড়া তুরস্কের নাগরিক হলে আপনি পাবেন এক বিশেষ সুবিধা। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে পৃথিবীর ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।
*সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড সাধারণভাবে কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ হলেও বৈধ বিয়ের মাধ্যমে দেশটিতে নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি সুইস নাগরিক হন এবং আপনারা যদি তিন বছর একসঙ্গে থাকেন, তাহলে পাঁচ বছর বসবাসের পর আপনি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি দেশের বাইরেও থাকেন, তারপরও ছয় বছরের বিবাহিতকাল অতিক্রান্ত হলেই আবেদন করতে পারবেন নাগরিকত্বের জন্য। একবার এই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে আপনি পাবেন ইউরোপে বসবাসের সুযোগও। আবেদনের জন্য লাগবে সুইস সমাজে ভালোভাবে মিশে যাওয়ার প্রমাণ; যেমন সুইজারল্যান্ডের ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা; যেকোনো অপরাধমূলক কাজে যুক্ত না থাকার রেকর্ড ও বৈধ দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় আছে, এমন প্রমাণ।
*কেপ ভার্ড
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ড। সেখানকার নাগরিককে বিয়ের পরই আপনি সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্বের যোগ্যতা অর্জনের জন্য দেশটিতে বসবাসের পূর্বশর্তও নেই।
ইউআর