• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন দলে কৌতুহলী মানুষ, সময় বলবে কে কেমন


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৭, ২০২১, ০৯:৩১ পিএম
নতুন দলে কৌতুহলী মানুষ, সময় বলবে কে কেমন

ঢাকা: জনগণের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামছে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল। এসব দল জনগণের ভাগ্য পাল্টাতে ঘোষণা করছে চমক লাগানো বিভিন্ন কর্মসূচিও। আর এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক কৌতুহল।

আরও পড়ুন: যতটুকুতে হুমকি নেই ততটুকু আন্দোলন...

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। নতুন দলের নাম ‘গণ অধিকার পরিষদ’।এ দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়াকে।

আরও পড়ুন: আন্দোলনের রূপরেখা সাজিয়ে ফেলেছে বিএনপি

এছাড়া কিছুদিন আগে গণমানুষের দাবি আদায়ে শক্তভাবে মাঠে নামার প্রত্যয় নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল ‘নৈতিক সমাজ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের। একই ধরনের চিন্তা-চেতনায় গত বছর আমার বাংলাদেশ পার্টি’র (এবি পার্টি) আত্মপ্রকাশ হয়। 
 
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, নতুন দলগুলোর চিন্তা ও স্লোগান রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের অধিকার এসব দল আদৌ রক্ষা করতে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ কোনো দলের রাজনীতিই আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। আর সাধারণ মানুষও রাজনীতিতে নেই, তাদের গুরুত্বও নেই।

আরও পড়ুন: হাকডাক দিচ্ছে বিএনপি, পাত্তা দিচ্ছে না আ.লীগ 


তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় দুই দলে (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) সিদ্ধান্ত নেন শীর্ষ নেতা এবং তাদের সঙ্গে থাকেন হাতে গোনা কিছু সিনিয়র নেতা। ফলে যা হবার হয়েছে। নতুন দলগুলো এই বৃত্ত থেকে বেড় হয়ে রাজনীতি করতে পারবে তা মনে হয় না। আসলে পেশাদার রাজনীতিবিদরাই হলেন একমাত্র গোষ্ঠী যারা সাধারণ মানুষের (পাবলিক) ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে। যদি সাধারণ মানুষের ভূমিকা রাজনীতিতে রাখা হয় তাহলে রাজনীতিবিদরা আর দুর্বল হয় না। বড় দুই দলে গণতন্ত্র চর্চা সঠিক ভাবে হলে দেশে নতুন দল গড়া ও সম্ভাবনা নিয়ে কোনো কিছুই সামনে আসতা না।

আরও পড়ুন: আন্দোলনের নতুন টিম বানাচ্ছে বিএনপি
 
এদিকে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নাগরিকের ভোটের রক্ষা নিয়ে দেশের বড় দুই দলের শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের শেষ নেই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, বিএনপি এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। তারা নির্বাচনের কফিনে বার বার গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষামতায় আসার পর দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি বহুদলীয় রাজনীতির সুযোগ তৈরির মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। এবার বড় দুই দলের বাইরে নতুন রাজনৈতিক দলগুলো দেশের গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কতটা শক্তভাবে অবস্থান নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।  

আরও পড়ুন: জোটগত রাজনীতিতে নতুনত্ব নিয়ে আসছে বিএনপি 

এর মধ্যে গত ৩০ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘নৈতিক সমাজ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের কথা জানানো হয়। সাবেক মেজর জেনারেল আ ম স আ আমিন ‘নৈতিক সমাজ’ নামের দলের ঘোষণা দেন। এ সময় রাজনীতিতে নীতিমান নেতৃত্ব এবং নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে এ রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

নতুন এ দলটির কার্যক্রম বিষয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নানা পরামর্শ তুলে ধরেছিলেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। 

আরও পড়ুন: সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তারেক রহমানের হাতে
 
মূলত আওয়ামী লীগের ব্যানারেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত হন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। আ ম স আ আমিন ২০০১ সালে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি গণফোরামে যোগ দিয়ে একই আসন থেকে নির্বাচন করেন। মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবার নিজেই একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিলেন।

আরও পড়ুন: একটি কৌশলে মিল দু’দলে

গত বছর ২ মে নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মজিবুর রহমান মনজুকে সদস্য সচিব করে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ (এবি পার্টি) গঠন হয়। তাদের রাজধানীর বিজয় নগরের দলীয় কার্যালয়ও রয়েছে।

এবি পার্টির কমিটিতে মেজর (অব.) ডা. আবদুল ওহাব মিনার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামসহ ৭ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ৯ জনকে সহকারী সদস্য সচিব করে ২২২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। 

আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে কাজ শুরু করেছে আ.লীগ
 
এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী বলেন,  ক্রান্তিলগ্নে দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজনীতির পরিবর্তে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হয়ে শেষ সময়টুকু উৎসর্গ করতে চাই। আমাদের নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের আহ্বান নিয়ে দেশের যে প্রান্তেই গিয়েছি মানুষের সমর্থন পেয়েছি।

আর গতকাল মঙ্গলবার আত্মপ্রকাশ করল রেজা কিবরিয়া ও নুরের নেতৃত্বে নতুন দল ‘গণ-অধিকার পরিষদ’। রাজধানীর পুরানা পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রিতম জামান টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার এবং জাতীয় স্বার্থ’-এই চারটি মূলনীতি ও রাষ্ট্র সংস্কারে ২১ দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে দলটি। ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গিকার’ এই স্লোগানকে ধারণ করে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব নির্বাচিত  করে ৮৩ সদস্যবিশিষ্ট গণ-অধিকার পরিষদ  আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এছাড়াও সংসদে ৩৫ শতাংশ নারী আসন নিশ্চিত করা ও সরকারপ্রধান কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান দলীয় প্রধান হতে পারবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় দলটি।

আরও পড়ুন : জামায়াতের মাস্টারপ্ল্যান ফাঁস

দলটির আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে আমাদের এই অগ্রযাত্রা। আমরা দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। আমরা নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করবো, এককভাবে প্রার্থী হব। তবে ভোটাধিকার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পক্ষের সকল পক্ষের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে আমাদের দ্বিধা নেই। 

আরও পড়ুন: এবার আর হায়ারে খেলবে না বিএনপি

নতুন রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দলীয় একটা অবকাঠামো তৈরির সুযোগ আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতায় আমাদের এই সুযোগটা তৈরি হয়েছে। সরকারের জনসমর্থন এতটাই কমে গেছে যে, মানুষ সুযোগ খুঁজছে কাকে সমর্থন দিলে এদের দূর করা সম্ভব হবে। আমরা মধ্যপন্থি দল। আমাদের সঙ্গে অন্যদের চিন্তাভাবনা মিলবে না।

দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, দেশবাসী সকলের অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ। দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও শোষণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে হবে আমাদের অবিরাম পথচলা।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালী নেতাদের কাছে জিম্মি বিএনপি

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে নুর বলেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন। মানুষ যাতে তাদের বিকল্প শক্তি হিসেবে ভাবে সে জন্যই এমন ভাবনা। তাদের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন। এ বিষয়ে বড় চাপ তৈরি করা না গেলে সরকারি দল তাদের অনুগত ইসি গঠন করবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নাগরিকের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে শক্তভাবে মাঠে থাকবে তাদের নতুন দল। আমরা মানুষের জন্য কাজ করব, কথা বলব। আমরা যেভাবে চলছি দেখবেন আগামী দেড় বছরে বিপ্লব ঘটে যাবে।

আরও পড়ুন: ইসলামী দলগুলো একজোট হলে হতে পারে ভিন্ন কিছু

গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়ার পুত্র। তিনি পিতার আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনায়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে গত চার বছর সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন গণফোরামের সঙ্গে। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত বনিবনা না হওয়াতে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দেন। রেজা কিবরিয়ার আন্তর্জাতিক অঙ্গনের পরিচিতি ও নূরের সাংগঠনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা অগ্রসর হতে চান। এই দলটি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য এবং জোনায়েদ সাকির সংগঠনের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচিতে থাকবে। এ ছাড়া সমমনা আরো কিছু দল ও সংগঠনকে নিয়ে সামনে যেতে চায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বার্তমান দেশে যে রাজনীতি, রাজনৈতিক দলে যে কোন্দল, গণতন্ত্রহীন, দুর্নীতির মহোৎসব, ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মারামরি এসব নৈরাজ্য দেখে মেধাবী ছাত্ররা রাজনীতিতে আসে না। যারা আসে ঘুরে ফিরে দেখা যায় পরিবারতন্ত্র কাজ করে। এ অবস্থায় তরুণ ও যুবকদের রাজনীতিতে আকৃষ্ট করতে নতুন দলগুলো গণতন্ত্রমুখী রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘গৃহপালিত বিরোধী দলের’ তকমা ঘোচাতে চায় নেতাকর্মীরা

যুবকদের কিভাবে গণতন্ত্রায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়, এমন প্রশ্নের উত্তরে এই রাজনীতি বিশ্লেষক বলেন, উদায় গণতন্ত্র চর্চা, রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র বজায় রাখা, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে নমিনেশনের চর্চা কতে হবে। যখন এগুলো নিশ্চিত হবে তখন যুবকরা এমনিতেই আসবে। আগেও আসত। কিন্তু বর্তমানে যুবকরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এটা দেশ, রাজনীতি, গণতন্ত্র সর্বপরি রাজনৈতিক দলের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাছাড়া দেশের অন্যতম প্রধান ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতা কেউ কেউ নতুন রাজনৈতিক দল করতে গিয়ে থৈ পাচ্ছেন না এমন দৃষ্টান্ত চোখের সামনেই। এবি পার্টি তাদের অন্যতম সমস্যা তারা জামায়াত থেকে বেরিয়ে যাওয়া অথবা বহিষ্কৃত। তাই পিঠে যে সিলমোহর আঁকা হয়ে আছে সেটি তাদের পিছুটান হিসেবে কাজ করেছে। জাতীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন কোনো নেতাও তাদের সামনে ছিল না। আবার ময়দানে নামার পর আন্দোলন-সংগ্রামে তারা কোনো চমকও দেখাতে পারেননি। এ অবস্থায় গণমুখী কোনো নতুন দলের বেশ চমক দেখানোর সুযোগ রয়েছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতার মৃত্যু হয়েছে। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই। রাজনীতিতে নৈতিকতা বোধ নেই। ফলে মানুষ ক্রমান্বয়ে রাজনীতি বিমুখ হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে নতুন রাজনৈতিক দল তরুণ-যুবকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের সাথে নিয়ে দেশর গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নতুন দলগুলো যত ছোটই হোক, এটি তাদের জন্য বড় সাফল্য বলেই মনে করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, নতুন কিছু দেখলে আশান্বিত হতে চাই। সমাজ থেকে আমরা নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছি। নৈতিকতা না থাকলে কিছুই থাকে না। নৈতিকতা থাকলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যায়। এ দেশের রাজনীতিতে নতুন দলের মধ্যে নতুন করে পথ চলার সুযোগ হয়া অসম্ভব কিছু না। তবে নুর গত তিন-চার বছরে যতবার পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন, যতবার রক্তাক্ত হয়েছেন ততই তার প্রতি মানুষের সহানুভূতি ও সহমর্মিতা বেড়েছে। এই সুবিধাটুকু তিনি সবসময় পাবেন।

বাংলাদেশ অধিকার পরিষদকে স্বাগত জানিয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণ সৎ মানুষকে শ্রদ্ধা করে। নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতা বোধের শিক্ষা দিতে হবে। নৈতিকতা ও সততাকে লালন করতে হবে। অসৎ মানুষ চিরস্থায়ীভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেনি, পারবেও না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন এ দলটির প্রতি শুভকামনা জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!