ঢাকা: যেই কার্লো আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে পেতে মরিয়া ছিল ব্রাজিল। তাকে পেয়েও খুশি হতে পারলেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
লুলার মতে, জাতীয় দলের কোচ পদে ব্রাজিলের কোনো বিদেশির প্রয়োজন নেই। চীনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন তিনি, যেটা প্রচারিত হয়েছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে।
গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম বিদেশি হিসেবে ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন আনচেলত্তি। সর্বশেষ ১৯৬৫ সালে বিদেশি কোচের দ্বারস্থ হয়েছিলে ব্রাজিল। সে বছরের সেপ্টেম্বরে উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের কোচ ছিলেন আর্জেন্টাইন ফিলপো নুনেজ।
এক দিনের জন্য ওই এক ম্যাচেই ব্রাজিলের কোচ পদ সামলান নুনেজ। তার আগে আরও দুজন বিদেশি কোচের সাহায্য নিয়েছে ব্রাজিল।
১৯২৫ কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের কোচ ছিলেন র্যামন প্লাতেরো। চার ম্যাচে মোট ২০ দিন ‘সেলেসাও’দের কোচ পদে ছিলেন তিনি। ১৯৪৪ সালে পর্তুগিজ কোচ জোরেকার অধীন উরুগুয়ের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে ব্রাজিল। মাত্র ৪ দিন ব্রাজিলের কোচ পদে ছিলেন জোরেকা।
প্লাতেরো ও জোরেকা অবশ্য সরাসরি প্রধান কোচ ছিলেন না। ১৯২৫ কোপায় ব্রাজিলের প্রধান কোচ হওয়ার কথা ছিল হোয়াকিম গিমারায়েসের। তিনি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হওয়ায় ফিল্ড কোচ হয়েছিলেন প্লাতেরো। জোরেকা ছিলেন ফ্লাভিও কস্তার সহকারী।
এবার আনচেলত্তির হাত ধরে গত দুই দশকের বেশি সময়ের শিরোপা-খরা ঘোচাতে চায় ব্রাজিল। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে থরে-বিথরে সাফল্য পাওয়া এই কোচের প্রশংসা করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অনেকেই। কিন্তু লুলা আনচেলত্তিতে মজতে পারেননি, ‘সত্যি বলতে, বিদেশি হওয়ায় আমার তার বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই...আমি যেটা মনে করি, তা হলো, জাতীয় দলকে পরিচালনা করার মতো কোচ ব্রাজিলে আছে ।’
তবে আনচেলত্তিকে ‘গ্রেট টেকনিশিয়ান’ বলে মনে করেন লুলা। ইতালিয়ান এই কোচের প্রতি লুলার আশা, তিনি ‘ব্রাজিলকে দলকে সাহায্য করতে পারবেন, প্রথমে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, তারপর সম্ভব হলে বিশ্বকাপ জিততে হবে’।
১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাই টেবিলে চতুর্থ ব্রাজিল। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে খেলা এরই মধ্যে নিশ্চিত করলেও ব্রাজিলকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিশ্বকাপের পরিবর্তিত কাঠামো অনুযায়ী দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে ছয়টি দেশ। সপ্তম দলটিকে প্লে-অফ খেলে আসতে হবে। আর চারটি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয়।
এআর