• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবেদন হয়নি প্যারোলের, তাই অবকাশ নেই বিবেচনারও


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৩:২৫ পিএম
আবেদন হয়নি প্যারোলের, তাই অবকাশ নেই বিবেচনারও

ঢাকা : দুর্নীতির মামলায় কারান্তরীন খালেদা জিয়ার প্যারোলের জন্য আবেদন না করায় তার মুক্তি ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত কারনগুলো বিবেচনার অবকাশ নেই। এমন কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে তার দল ও পরিবার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে বলেও মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব (বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) একবার বলেন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ, তিনি মরনের পাড়ে। আবার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বেগম জিয়াকে মানবিক কারনে মুক্তি দেওয়া।…তার প্যারোল..জাতীয় বিষয়ও আছে। প্যারোল দিতে গেলে একজন বন্দিকে…বন্দির চেয়েও বড় কথা তিনি কনভিক্টেট প্রিজনার (কারাবন্দি)। কনভিক্টেট প্রিজনারকেও প্যারোলে মুক্তি দেয়ারও নিয়ম আছে।

তারা প্যারোলের আবেদনই করেনি। কাজেই সেই নিয়মটি আছে কি না, যুক্তিযুক্ত কোনো কারন আছে কি না তাকে মুক্তি দেওয়ার, সেটা বিবেচনার কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু তারা কোনো আবেদন করেনি। প্যারোলের মুক্তি দেওয়ার সেসব কারন প্রদর্শন করে এ পর্যন্ত তারা কোনো আবেদন করেনি, বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপির ‘নাটক করছে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করে তারা ক্ষান্ত হয়নি। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি। নানামুখি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আজকে বেগম জিয়াকে কেন্দ্র করে তারা নতুন নতুন ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা সরকার হঠানোর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করছে। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা আজকে নতুন নতুন নাটক করছে।’

তারা খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে যা করছে, তাদের মহাসচিব যা করছে; এটা আসলে তারা বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়ার চেয়েও তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যতোটা না ব্যাকুল তার চেয়ে ব্যাকুল রাজনীতিক ইস্যু নিয়ে, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। তারা শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি নাটক করছে, রাজনীতি করে যাচ্ছে।

বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেমন থাকার কথা তেমনই আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব ঝানু রাজনৈতিক হতে পারেন, কিন্তু তিনি কি ঝানু চিকিৎসক যে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা কি তিনি সেই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন?

চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম জিয়ার অবস্থা বার্ধক্যের কারনে যেই অবস্থানে থাকার কথা সেই অবস্থানে আছেন। তরুন-তরুনীর মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা যা থাকার তাই আছে। কোনো প্রকার অবনতি হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসা তাকে দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। বেগম জিয়ার মামলা দুর্নীতির মামলা। সরকার কিভাবে মুক্তি দেবে? যদি রাজনৈতিক মামলা হতো তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তির প্রশ্ন ছিলো। কিন্তু যেহেতু এই মামলা রাজনৈতিক নয়। এই মামলা দুর্নীতির মামলা আর এই মামলা এই সরকারও রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে হেয় করার জন্য রুজু করেছে এমন নয়। মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই মামলা তিনি হাজিরা না দিতে দিতে গড়াতে গড়াতে তাদের নানান কারসাজি এই মামলার এই অবস্থায় এসেছে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!