• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রুবেল-সাব্বিররা থাকার পরও বাংলাদেশকে লজ্জা দিল আফগানরা


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ২০, ২০১৯, ০১:১৬ এএম
রুবেল-সাব্বিররা থাকার পরও বাংলাদেশকে লজ্জা দিল আফগানরা

ঢাকা: একটা দেশে ক্রিকেট অবকাঠামো বলতে কিছুই নেই। মাঠ নেই। ভাড়া করা মাঠে খেলতে হয় হোম সিরিজ। সেই দলটিই বিশ্বক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে। দলটির নাম আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সফরে এসেছে দলটির ‘এ’ দল। দুই ম্যাচের আনঅফিসিয়াল টেস্ট তারা ১-০ ব্যবধানে জিতেছে।

চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজও আফগানিস্তান ‘এ’ দল জয়ে ফিরেছে। বাংলাদেশের ‘এ’ দলটি সাজানো হয়েছিল প্রায় জাতীয় দলের আদলে। বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়ে আফগানরা জিতেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ছিলেন ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেন।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলতেই হাঁপিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস, এনামুল হকরা ব্যর্থ হলেও আফগান ব্যাটসম্যানরা ঠিকই প্রমাণ করেছেন উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। ৩৭ বল বাকি থাকতেই কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নেয় তারা।

ম্যাচটা একেবারেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছে আফগান দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গারবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন গারবাজ। বাংলাদেশ আরও কিছু রান করলে সেঞ্চুরি পেতে পারতেন ইব্রাহিমও। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। জাতীয় দলের পেসার রুবেল ৭.৫ ওভারে ৩.০৬ ইকোনমিতে ২৪ রান দিয়েছেন। আবু জায়েদও বল করেছেন ৭.৫ ওভার। ৪.৫৯ ইকোনমিতে ৩৬ রান দিয়েছেন বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না খেলা জায়েদ। সবচেয়ে খরচে ছিলেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম। ৩ ওভারে ১২ ইকোনমিতে ৩৬ রান দিয়েছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই স্পিনার। ও ওভার বল করে লেগ স্পিনার সাব্বির দিয়েছেন ২৩ রান।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কেউ ধারাবাহিক ছিলেন না। অবশ্য ওপেনিং জুটিতে ইমরুল ও এনামুল ভালোই শুরু করেছিলেন। ৫২ রানের জুটি গড়ে ফেরার আগে ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। এর পর থেকে শুরু হয় যাওয়া আসার পালা। ৫২ রানে কোনো উইকেট না হারানো দলটি মুহূর্তের মধ্যে ১০৬ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। ১৯ রানে ফিরেছেন এনামুল। বিশ্বকাপ খেলে আসা মিঠুন ৩ ও সাব্বির ১৫ রান করেন। ভাগ্যিস অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬৭ রানের জুটি না গড়েছিলেন আফিফ হোসেন ও ফরহাদ রেজা। ৭১ বল খেলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন আফিফ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে ফরহাদের ব্যাট থেকে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/

 

Wordbridge School
Link copied!