ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেধাবী জনবল আনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন প্রয়োজনীয়। এইচ-১বি ভিসা প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, দক্ষ অভিবাসী কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু খাতের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের এই অবস্থানকে প্রশাসনের পূর্ব নীতির তুলনায় এক ধরনের অপ্রত্যাশিত নমনীয়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতদিন তাঁর প্রশাসন বিদেশি পেশাজীবীদের নিয়োগে ব্যবহৃত এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা খাতের মতো জটিল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনে সময় লাগে। এসব খাতে দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকা আমেরিকানদের দ্রুত কাজে লাগানো সম্ভব নয়। তাই প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও গবেষণার মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে বিদেশি পেশাজীবীদের অবদান অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
এই পরিবর্তন এমন সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জারি করা ঘোষণায় বলা হয়, ২৫ সেপ্টেম্বরের পর দাখিল করা নির্দিষ্ট এইচ-১বি আবেদনগুলোর জন্য অতিরিক্ত এক লাখ ডলার ফি দিতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পরে স্পষ্ট করে জানায়, নতুন ফি কেবল সেইসব কোম্পানি বা ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা নির্ধারিত তারিখের পর নতুনভাবে আবেদন করবে বা লটারিতে অংশ নেবে। আগের আবেদন বা বর্তমান ভিসাধারীরা এর আওতায় পড়বে না।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা খাত ও গবেষণা সংস্থাগুলোর বিদেশি কর্মীদের বেশির ভাগই ভারতীয় নাগরিক। ফলে এইচ-১বি ফি বৃদ্ধি এবং নীতির কঠোরতা ভারতীয় পেশাজীবীদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রশাসনের নীতি বদলের ইঙ্গিত না হলেও, অভিবাসন–সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে কিছুটা বাস্তবতা বিবেচনার প্রতিফলন ঘটেছে।
এসএইচ







































