ঢাকা: কথা বলার লোক নেই? তাতেও সমস্যা নেই। এখন আর মানুষ একা থাকছে না। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আর রক্ত-মাংসের প্রয়োজন হচ্ছে না। এখন কথা বলার জন্য রয়েছে চ্যাটজিপিটি। যে কোনও প্রশ্ন বা গল্প করলেই সহজে উত্তর দিয়ে দেয় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে যা নিয়ে চ্যাটজিপিটির সাথে কথা না বলাই ভালো।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন প্রশ্নগুলি ভুলেও করা যাবে না চ্যাটজিপিটিকে
কীভাবে বিস্ফোরক তৈরি করে:
হয়তো কোনও কারণ ছাড়াই, স্রেফ কৌতুহলের বশে চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসলেন, কীভাবে বিস্ফোরক তৈরি করবেন। অর্থাৎ এমন কোনও প্রশ্ন যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তা জিজ্ঞেস করলেই লগ আউট হয়ে যেতে পারে চ্যাটজিপিটি। পরবর্তীতে লগ ইন করতে বেশ বেগ পেতে হবে।
কারও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া:
চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের উত্তর দেয় বলে ভুলেও কারও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইবেন না। ধরুন এমন কোনও তথ্য চেয়ে বসলেন, যা কোনওভাবে অন্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ধরুন কারও ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলেন, তা কখনই জানাবে না চ্যাটজিপিটি। উলটে এধরনের প্রশ্ন করার জন্য আপনি পড়তে পারেন বিপদে।
এখানেই শেষ নয়। ধরুন, পরীক্ষার হলে উত্তর লিখতে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিলেন। তাতেও পড়তে পারেন সমস্যায়। তবে মাথায় রাখবেন আর যাই করুন, ভুলেও অপরাধমনস্ক কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। তাহলে মজা কখন ‘সাজা’ হয়ে দাঁড়াবে বুঝতেও পারবেন না!
পরীক্ষার হলে ব্যবহার বা প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন:
চ্যাটজিপিটি অনেক কিছু পারে, কিন্তু শর্টকাট জীবন বা শিক্ষা নয়। পরীক্ষার সময় উত্তর লিখিয়ে নেওয়া, বা শিক্ষাগত প্রতারণার জন্য এই টুল ব্যবহার করাও নীতিগতভাবে ভুল। ধরা পড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা অন্যান্য সংস্থা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।
মজার ছলে একটা ভুল প্রশ্ন করে ফেলেছেন?
সতর্ক থাকুন! কারণ প্রযুক্তির দুনিয়ায় “মজা” আর “সাজা”-র মধ্যে ফারাকটা অনেক সময় খুব সূক্ষ্ম। চ্যাটজিপিটি আপনার ডিজিটাল বন্ধু—তাকে অপরাধে টেনে না এনে, বরং জানুন, শিখুন আর সৃজনশীলতার পথে হাঁটুন।
কীভাবে কাউকে হত্যা করা যায়
বিস্ফোরক তৈরির মতো এটিও একটি মারাত্মক ভুল প্রশ্ন হবে চ্যাটজিপিটিকে করা। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এ ধরনের প্রশ্ন কখনোই করতে পারেন না। এসব জিজ্ঞেস করলেই লগ আউট হয়ে যেতে পারে চ্যাটজিপিটি। পরবর্তীতে লগ ইন করতে বেশ বেগ পেতে হবে। মনে রাখবেন চ্যাটজিপিটি কিন্তু আপনার সব হিস্ট্রি সংরক্ষণ করে। ফলে যে কোনো সময় এসবের জন্য বিপদে পড়তে পারেন।
ইউআর